যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস) নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রিপাবলিকানরা। মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টের ৪৩৫টি আসনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ২১৮টি জিতেছে তারা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ২১১টি আসন। কয়েকটি আসনের ফল ঘোষণা এখনও বাকি। কিন্তু এতে রিপাবলিকানদের বিজয়ে প্রভাব পড়বে না। এতদিন নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ ও উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ ছিল ডেমোক্র্যাটদের হাতে। প্রশ্ন উঠছে, নিম্নকক্ষ হাতছাড়া হওয়ায় কতটা সংকটে পড়তে পারেন জো বাইডেন। নিম্নকক্ষের এ বিজয়কে উদযাপন করছেন হাউসে রিপাবলিকান দলের নেতা কেবিন ম্যাকার্থি। এফএনএস
দুই কক্ষ দু’দলের হাতে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে আইন প্রণয়ন এবং বিভিন্ন বিল পাসের ওপর প্রভাব পড়বে। ডেমোক্র্যাটদের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে প্রতিনিধি পরিষদ। সেখানে ডেমোক্র্যাটদের এমনভাবে বিল তুলতে হবে, যাতে সেগুলো রিপাবলিকানরা আটকে না দেয়। আর প্রতিনিধি পরিষদে কোনো বিল বা আইন পাস হয়ে গেলে তা উচ্চ কক্ষে গিয়ে আটকানোর সম্ভাবনা কম। কারণ, সেখানে ডেমোক্র্যাটরা সংখ্যায় বেশি। বিবিসির খবরে বলা হয়, সামান্য ব্যবধানে জিতেছে রিপাবলিকানরা। তবে এ ব্যবধান ডেমোক্র্যাট বাইডেনের এজেন্ডা আটকে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আগামী জানুয়ারিতে নতুন কংগ্রেস কার্যকর হবে। এরইমধ্যে রিপাবলিকানরা হাউস স্পিকার ন্যান্সি পলোসির উত্তরসূরি নির্বাচন করবেন।
নতুন স্পিকার হতে পারেন কেবিন ম্যাকার্থিই। রিপাবলিকানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি এ-ও বলেছেন, দেশব্যাপী ডেমোক্র্যাটরা প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল করেছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটাররা পরিস্কারভাবে তাঁদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা চান জিনিসপত্রে কম মূল্য, তাঁরা চান নির্বাচনে অধিকার সংরক্ষণ করতে ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে। তিনি বলেন, যাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান, তিনি তাঁর সঙ্গেই কাজ করবেন; তিনি ডেমোক্র্যাট হোন, আর রিপাবলিকান। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিম্নকক্ষে প্রেসিডেন্টের দল অধিকাংশ সময়ই হারে। নিম্নকক্ষে রিপাবলিকানদের জয়ে কংগ্রেসের ভারসাম্য এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের আসন সংখ্যা ২২০টি।