রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

ফুটবলপ্রেমীদের প্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে যে বাজার

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে কাতারে শুরু হতে যাচ্ছে ফুটবল বিশকাপ। বিগেস্ট শো অন দ্যা প্ল্যানেট বা বিশ্বের বুকে সবচেয়ে বড় আয়োজন খ্যাত এ আসর উপভোগ করতে বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ১২ লাখ ফুটবলপ্রেমী কাতারে ভিড় জমাবেন বলে জানা গেছে। স্বাভাবিকভাবেই, এ আয়োজনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে কাতার ও উপসাগরীয় অর্থনীতিতে। এরইমধ্যে ফুটবল বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ঢেলে সাজানো হয়েছে কাতারের অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। কাতারের রাজধানী দোহায় দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে নির্মাণ করা হয়েছে সোক ওয়াকিফ বাজার। এরইমধ্যে আগত ফুটবলভক্তদের কাছে একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে এটি। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বাজারটিতে বসানো হয়েছে অসংখ্য শিল্পকর্ম, এটিএম ও টেলিফোন বুথ। সওক ওয়াকিফের প্রায় সব দোকানেই বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনকারী ৩২টি দেশের পতাকা টাঙানো হয়েছে। ওইসব দেশের পতাকা, জার্সি, শার্ট, স্কার্ফ, শাল, চাবির রিং, পতাকা সংবলিত সানগ্লাস, ব্রেসলেট ও ক্যাপসহ সবকিছুতেই লেগেছে বিশ্বকাপের ছোঁয়া। কাতারের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা শখের বশে ফুটবল খেলার সময় তাদের বাড়ির দরজাকে গোলপোস্ট বানিয়ে ফেলে। সে ঐতিহ্য তুলে ধরতে সওক ওয়াকিফের প্রবেশ পথে প্রতীকী দুটি নীল দরজার সামনে বাগানবিলাস ফুলগাছ লাগিয়ে একটি কাঠামো বানোনো হয়েছে। তাছাড়া, কাতারের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করায় পুরোনো এ বাজারের চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে বাজপাখি ও উটের ভাস্কর্য। বাজ মূলত কাতারের জাতীয় পাখি। বাজারটির কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, এরইমধ্যে কেনাবেচায় বিশ্বকাপের হাওয়া লেগেছে। দর্শণার্থীদের আগমনে ব্যবসার গতি বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সবকিছুর মধ্যে জার্সি ও শাল বিক্রির পরিমাণ বেশি। রাতের বেলা কেনাবেচার পরিমাণ বাড়ে। বাজারের একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করা বিন ওমর নামের এক যুবক বলেন, ১২ বছর আগে যখন কাতারেকে ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন থেকে এ বাজারে কাজ করে আসছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আজ আমরা সে আয়োজনের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছি। তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের সঙ্গে সম্পর্কিত জিনিসগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। রাতের বেলা ভ্রমণকারীদের কেনাকাটা দেখলে মনে হয়, ঈদ চলে এসেছে। মনে হচ্ছে, আমাদের ব্যবসা করোনাপূর্ব সময়ে ফিরে গেছে। সত্যিই, এ আয়োজন আমাদের ব্যবসার ধরন পাল্টে দিয়েছে। এর আগে সওক ওয়াকিফ প্রশাসন বলেছিল, ঐতিহ্যবাহী এ বাজারের সব দোকান বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। এখানে পতাকা, জার্সি থেকে শুরু করে ফুটবলপ্রেমীদের প্রয়োজনীয় সবকিছু পাওয়া যাবে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris