আলিফ হোসেন, তানোর
রাজশাহীর তানোরে মডেল মসজিদ নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে মসজিদের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, সরকার দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ কাম ইসলামী কালচার সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এসব মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। ইতমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। বিগত ২০২০ সালের আগষ্ট মাসে স্থানীয় সংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কালচার সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন এবং বাস্তবায়নে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ রাজশাহী।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের উত্তর পার্শ্বে মসজিদের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এসময় দেখা যায়, মসজিদের নিচে দুই ও তিন নম্বর ইটের খোয়া বিছানো রয়েছে এবং কিছু অংশের আরসিসি ঢালায়ের কাজ করা হয়েছে। আর ফাঁকা জায়গায় ময়লা আবর্জনার মধ্যে বালি দিয়ে ইট বিছিয়ে রাখা হয়েছে, সেখানে দুই ও তিন নম্বর ইট খোয়ার কাজ করা হচ্ছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন। এসময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিন নম্বর ইট দিয়ে কিভাবে কাজ করছেন, তিনি জানান ঠিকাদার যেভাবে বলেছে সেভাবে কাজ করা হচ্ছে। এবিষয়ে ঠিকাদার আতিকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভাটায় এর চেয়ে ভালো ইট পাওয়া যায়নি। এ জন্য এসব দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। তবে ইট ও খোয়ার মাণ ভাল দাবি করে তিনি বলেন, নির্মাণকাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নাই কোনো অনিয়ম করা হয়নিউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি দ্রুত কাজ বন্ধ করে দিয়ে বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নির্মাণ শ্রমিক জানান, মসজিদ নির্মানের শুরু থেকে ছোটখাটো অনিয়ম করা হয়েছে, কারণ নির্মান সামগ্রীর বাড়তি দামের কারণে ইট, খোয়া, সিমেন্ট,রোড ব্যবহারে কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। এখানে দেখভালের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত বিভাগের কেউ নিয়মিত আসে না। এবিষয়ে জানতে রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও কল ফরওয়াড করে রাখায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী(সিভিল) রবিউল ইসলাম খানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।