জনগণের টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট ও পাচারকারীদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। অর্থপাচার মামলায় ব্যাংকটির আসামি মোহাম্মদ আলীসহ তিন জনের জামিন শুনানিকালে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। শুনানির শুরুতে আসামির আইনজীবী আবুল হোসেন আদালতকে বলেন, এই মামলায় ৫ বছর পার হয়ে গেলেও দুদক চার্জশিট দিচ্ছে না। বিচারও শেষ হচ্ছে না। জবাবে আদালত বলেন, অর্থপাচারকারীরা জাতির শত্রু। কেন এসব মামলার ট্রায়াল (বিচার) হবে না? এক পর্যায়ে দুদকের আইনজীবীকে প্রশ্ন করে আদালত বলেন, কেন চার্জশিট দিচ্ছেন না। অর্থ লুটপাট, পাচারের মামলায় সামারিলি ট্রায়াল (সংক্ষিপ্ত বিচার) হওয়া উচিত। যারা জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে তাদের ‘শ্যুট ডাউন’ করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এ সময় আদালত বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি অর্থপাচারেরর ঘটনায় দায়ের হওয়া সব মামলার সবশেষ তথ্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন। দুদককে এসব তথ্য জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।