তানোর প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে ফিল্মি-স্টাইলে পুকুরের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত ১ নভেম্বর মঙ্গলবার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো মৌজার বুড়াবুড়িতলা পুকুরে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একইদিন চিনাশো মৎস্যচাষী সমবায় সমিতির সভাপতি ইমরান বাদি হয়ে সাইদ সাজু ও আশরাফুল ইসলাম রঞ্জুকে আসামি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এবং অনুলিপি ভূমি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ভক্তভোগীদের। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় তিন বছর আগে উপজেলা ভূমি অফিস থেকে চিনাশো মৎস্যচাষী সমবায় সমিতির নামে চিনাশো মৌজার, আরএস ৭৩৪ দাগে ৪৯ শতাংশ খাস পুকুর ৬৫ হাজার টাকায় বৈধভাবে লীজ নিয়েছেন। গত বৈশাখ মাসে লীজের মেয়াদ শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সমিতির নামে পুনরায় ভূমি অফিস থেকে লীজ নেওয়ার জন্য গেলে কর্তৃপক্ষ তহসীল অফিসের মাধ্যমে লীজ নেওয়ার পরামর্শ দেন। সমিতির সদস্য মাইনুল ইসলাম জানান, তারা তহসীল অফিসে গেলে তহসীলদার রবিউল বলেন, তিন বছরের মেয়াদে যত টাকা দিয়ে পুকুর লীজ নিয়েছেন সেই পরিমান টাকা দিলে এক বছরের জন্য লীজ দেওয়া হবে। এমন কথা শোনার পর আমরা বলি আপনি প্রকাশ্যে নিলাম দেন, আমরা যদি পারি নিব, না পারলে না নিব। কিন্তু তহসীলদার গোপণে সাইদ সাজুকে নাকি লীজ দিয়েছেন। কত টাকায় সেটাও আমাদেরকে বলেন নি। এরই মধ্যে সাইদ ও রঞ্জু গত মঙ্গলবার মাছ লুট করে নিয়েছে আমি তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা উল্টো আমার উপর চড়া হয়। কাগজ দেখতে চাইলেও তারা দেখান নি। ঘটনাটি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছিল, তারা বসে সমাধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা কোন কথায় শোনেন নি। পুকুরে বড় সাইজের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় লাখ টাকার মাছ ছিল। এবিষয়ে সমিতির সভাপতি ইমরান জানান, তহসীলদার রবিউল প্রকাশ্যে নিলাম না দিয়ে গোপনে কেন দিলেন। আমাদেরকে মাছ মারতে না দিয়ে উল্টো তাদেরকে মাছ মারার হুকুম দিয়েছেন। না হলে কিভাবে মাছ মারবে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথকে পুকুর লীজের কাগজ দেখানো হলে তিনি বলেন এটা লীজের কাগজ না, এভাবে লীজের কাগজ হয় না, অভিযোগ হাতে পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।