বুধবার

১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেলের টিকিট কালোবাজারি দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

Paris
Update : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

রেলের টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় চক্রের ‘হোতা’ সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম রেজা ও তার সহযোগী মো. এমরানুল হক সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক ফ ম শাহ জাহান আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গতকাল সোমবার ঢাকার রেলওয়ে থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা যায়। চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা না পাওয়ায় আসামি সোহানসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিম গত ৬ বছর ধরে কমলাপুর টিকিট সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ট্রেনের টিকিট বিক্রয় সংক্রান্ত কথোপকথনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রয় করেছিলেন। তাছাড়া তিনি অবৈধ উপায়ে টিকিট ব্লক করে পরবর্তীতে যাত্রীদের কাছে কালোবাজারির মাধ্যমে অধিক দামে বিক্রয় করতেন। আসামি রেজাউল করিম তার সহযোগী সম্রাটের কাছে টিকিট সরবরাহ করতেন। সম্রাট এসব টিকিট তিনি নিজে ও তার অজ্ঞাত সহযোগীদের দিয়ে অধিকমূল্যে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রয় করে আসছিলেন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজসে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও আজহাসহ বিভিন্ন উৎসবে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট অবৈধভাবে সংগ্রহ করেন। তা নিজদের কাছে রেখে কালোবাজারে নির্ধারিতমূল্যের চেয়ে অধিকমূল্য বিক্রয় করে আসছিলেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। অধিকাংশ মানুষই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সকালে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এমন অভিযোগে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে আটক সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‌্যাব। পরে সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২৯ এপ্রিল র‌্যাব-১ এর নায়েবে সুবেদার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার রেলওয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় রেজাউল ও সম্রাটকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওইদিন তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris