স্টাফ রিপোর্টার
‘আমাদের আশেপাশের অনেক দেশ পর্যটনে আমাদের চেয়ে এগিয়ে গেছে। এখাতে আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ পর্যটনে কতটা এগিয়ে গেছে তা বিশ^বাসীকে জানাতে হবে।’ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ^ পর্যটন দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ, এনডিসি। তিনি বলেন, থাইল্যাণ্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া পর্যটনে অনেক আগেই উন্নতি করেছে। আমাদের দেশ পাশের শ্রীলংকা, মালদ্বীপ; ভুটানও সম্প্রতি অনেক এগিয়ে গেছে। এখন অনেক দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্ধেকই আসে পর্যটন খাত থেকে।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের দেশে আগে কেউ বেড়াতে গেলেই কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও সিলেট যেত। কিন্তু ওইসব স্থানে আর কত? এভারেস্ট যেমন বিশে^র সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, তেমনি আমাদের কক্সবাজারও পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। কিন্তু আমাদের দীর্ঘতম এই সমুদ্র সৈকত থাকলে কী হবে, আমরা তো সেখানে চিপসের প্যাকেট, বাদামের খোসা, ডাবের খোলা ফেলে রাখি! এটা করা যাবে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিষ্ময়কর জায়গা কুয়াকাটা সৈকত। যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়। আগে সেখানে রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা ছিল, তবে এখন রাস্তা অনেকটা ভালো হয়েছে। রাজশাহীর পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, পদ্মাপাড়ে সুন্দর একটি ইকোপার্ক তৈরির জন্য বর্তমান মেয়র চেষ্টা করছেন। পদ্মাপাড়কে তিনি একটি চমৎকার স্পটে পরিণত করবেন। এখানে থাকার জায়গাসহ থাকবে সুন্দর রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা। আর কয়েক বছরের মধ্যে উত্তরবঙ্গের রাস্তাঘাট ভালো হয়ে যাবে। তখন শুধু দেশবাসী নয়, বিশ^বাসী দেখবে রাজশাহী নগরী কোথায় রুপান্তরিত হয়েছে। এ সময় রাজশাহীকে পরিবেশ বান্ধব, যানজটমুক্ত এবং নিরাপদ নগরী হিসেবে উল্লেখ করে সকলকে নিজেদের পরিচিতজনদের এই শহরে ভ্রমণের জন্য আহ্বান জানাতে অনুরোধ করেন। জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মতিউর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিশ^ পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে নগরীতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি কালেক্টরেট চত্বর প্রদক্ষিণ করে বলে মঙ্গলবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন তথ্যবিবরণী।