সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক নামে দুই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নিয়ে জেলা প্রশাসককে অভিযোগ

Paris
Update : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বরখাস্ত হওয়া এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই নামে স্কুল প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খানের নিকট স্মারকলিপি তুলে দেন, সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের একাংশের অভিভাবকরা। সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের একাংশের অভিভাবক, নির্বাহী কমিটি ও স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে একই নামে দুটি বিদ্যালয় চলছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে। একটি ক্যাম্পাস জেলা শহরের ফুড অফিস মোড়ে হলেও একই নামে আরেকটি বিদ্যালয় চলছে নিউ ইসলামপুর মহল্লায়। মূল বিদ্যালয় থাকাকালীন ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারী এক শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক কাজের দায়ে পুলিশ তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুজ্জামান আসাদকে আটক করে। পরে তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে বহিষ্কার করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, বরখাস্ত হওয়ার পর নতুন করে একই নামে সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন আসাদুজ্জামান আসাদ। এমনকি মূল বিদ্যালয়টি দখলের নানারকম পায়তারা করছেন তিনি। এছাড়াও মূল প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক ও নির্বাহী কমিটিকে হয়রানি করতে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। তাই এর প্রতিকার পেতে ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা সুষ্ঠভাবে যাতে হয়, তাই জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
অভিভাবকরা বলেন, একই নামে স্কুলের একই নামে স্কুলের সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীবিহীন বিদ্যালয় পরিচালনা করতে ব্যর্থ হলে আসাদুজ্জামান আসাদ মূল স্কুল দখলে নিতে নানারকম অপপ্রয়াস চালাতে থাকে। এমনকি ২০২১ সালে এনিয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিলে ছাত্রদের নতুন বই পেতে বিঘ্ন হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে বহিস্কৃত প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদকে বাদ দিয়ে বিদ্যালয়ের নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সচিব মোহা. হান্নান হোসাইনকে স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব প্রদান করেন। অথচ সেই আদেশও মানেননি আসাদুজ্জামান।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসাদুজ্জামান আসাদ মুঠোফোনে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানটিই সঠিক রয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে মূল প্রতিষ্ঠানের কিছু অংশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে নিয়ে নতুন করে জেলা শহরের ফুড অফিস মোড়ে সুইড বাংলাদেশ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের নামে স্কুল খুলে পাঠদান শুরু করে আম্বিয়া খাতুন মিলি।
সুইড বাংলাদেশের মেন্টর জওয়াহেরুল ইসলাম মামুন জানান, প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক কাজের দায়ে পুলিশ তাকে আটক করেছিল। এবিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত গিয়ে আমরা ওই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে কথা বললেও তারা মুখ খুলেনি। আমরা দুটি প্রতিষ্ঠান এক করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান মুঠোফোনে বলেন, কয়েকজন অভিভাবক আমার কাছে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিবন্ধী শিশুদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যত জীবনের দিক বিবেচনায় সুষ্ঠু সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অভিভাবকবৃন্দ। স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অভিভাবক বিলকিস খাতুন, নাসিমা খাতুন, জান্নাতুল খাতুন, সায়েরা খাতুনসহ অন্যান্যরা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris