শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন হজ পালনের ধাপসমূহ

হারিয়ে যাচ্ছে বসার আসন ‘মোড়া’

Paris
Update : রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২

আর কে রতন : আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামীণ বাংলার হস্তশিল্প কারুকাজ সম্পন্ন ঐতিহ্যবাহী মোড়া প্রায় বিলুপ্তির পথে। অতীতে গ্রাম-বাংলার ধনী গরীব সকল শ্রেণি পেশাজীবি মানুষের বাসাবাড়ি কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসার আসন মোড়ার ব্যবহার হলেও। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এ হস্তশিল্পের পাশাপাশি বাঁশ, বেত ও প্লাস্টিক নকশার আদলে তৈরীকৃত মোড়া তৈরীর কারিগররাও হারিয়ে যাচ্ছে। এক সময় এ অঞ্চলের বিভিন্ন বাড়িতে হস্তশিল্প হিসেবে সাংসারিক কাজেকর্মে ব্যবহার যোগ্য নানা ধরনের বাঁশ ও বেত সামগ্রী তৈরীর কাজ করা হতো। কালের বিবর্তণে এসব হস্তসামগ্রী তৈরীর দৃশ্য তেমন আর চোখে পড়ে না। জানা যায়, রাজশাহী জেলার বিভিন্ন গ্রামের এক শ্রেণীর মানুষ বাঁশ ও দড়ি দিয়ে তৈরী করা মোড়া বিক্রি করে জীবিকা নির্ভর করতেন।

 

বিশেষ করে জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার বাকশৈইলসহ আশপাশের গ্রামের শত শত বসবাসকারী পরিবার বাঁশ ও বেতের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীর মাধ্যমে হস্তশিল্প তৈরী ও তা হাটে বিক্রি করে সংসার চালাত। পরিবাররের নারী ও পুরুষ সদস্যরা মোড়া, দাড়ি পালা, ঢোলাসহ নানা সামগ্রী তৈরী করছিলেন। বিভিন্ন হাটবাজারে বাঁশের শলাকা, বেত ও প্লাস্টিকের ফিতার আবরণে তৈরী প্রতিটি মোড়া আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা করে। এছাড়া মাঝে মধ্যে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ফেরি করেও ঐতিহ্যবাহী এসব মোড়া ও হস্তশিল্পের নানা ধরনের সামগ্রী বিক্রি করতে দেখা যায় না।

 

মোহনপুর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামের বাসিন্দা নারায়ন চন্দ্র (৬০) বলেন, আধুনিক প্লাস্টিক ও স্ট্রীলের চেয়ারের যুগে ঐতিহ্যবাহী মোড়া তলানিতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাড়ীতে অতিথি এলে মোড়াতে বসতে দেয়া হতো। কিন্তু এখন গ্রামেও লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। তাই আগের মত মোড়ার ব্যবহার নেই।
বাকশৈইল গ্রামের তমিজ উদ্দিন বলেন, এক সময় মোড়ার জন্য পাইকাররা বাড়ীতে এসে অর্ডার দিতো। দিন রাত সমান তালে পরিবারের সবাইকে কাজ করতে হতো। এ কাজে বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রীর দাম অনেকাংশে বৃদ্ধি পাওয়ায় হস্তশিল্প সামগ্রী তৈরীতে প্রভাব পরেছে। বিক্রি করে ন্যার্য মূল্য পাওয়া যাচ্ছেনা। বাধ্য হয়েই জীবন জীবিকার জন্য এ পেশা ছেড়ে এখন অন্য গেছে অনেকে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris