শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন হজ পালনের ধাপসমূহ

অতিদরিদ্রের কর্মসংস্থান কর্মসূচির মজুরি না পাওয়ার অভিযোগ

Paris
Update : শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থানের কর্মসূচির মাটি কেটেও মজুরি না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন দিনমজুররা। গত বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের ৭০ জন শ্রমিক মজুরি না পেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগ, ভুক্তভোগী দিনমজুর, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থানের কর্মসূচির আওতায় নারায়নপুর ইউনিয়নে ২৫৬ জন দিনমজুর রয়েছে। তারা এর আগে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ সম্পন্ন করেছে। এসময় হাতেগোনা কয়েকজন বাদে প্রায় সবাই তাদের মজুরি পেয়েছে। কিন্তু গত মাসখানেক আগে অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থানের কর্মসূচির আওতায় ২০ দিনের কাজ সম্পন্ন করলেও মজুরি পায়নি প্রায় ৭০ জন।

নারায়নপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া গ্রামের দুরুল হোদার ছেলে আহাদুল ইসলাম (৩০) বলেন, এর আগে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ করে প্রাপ্য ১৬ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পেয়েছি। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারী থেকে ৪০ দিন মাটি তোলার কাজ করেছিলাম। দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ মে থেকে ২০ দিনের কাজ সম্পন্ন করেছি। কিন্তু এবার টাকা আসেনি। নিয়ম মেনে রাস্তায় মাটি উঠানোর কাজ করলেও টাকা আসেনি।
একই ইউনিয়নের মৃত খসরুল মোহাম্মদের ছেলে মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা সবাই আগেরবারে ৪০ দিনের ১৬০০০ হাজার টাকা পেয়েছি। শুধুমাত্র কয়েকজন দিনমজুর সেসময় টাকা পায়নি। বর্তমানে সদ্য শেষ হওয়া কাজের অনেকেই টাকা পেলেও আমরা প্রায় ৬০-৭০ জন টাকা পায়নি। দৈনিক মজুরি ৪০০ টাকা করে হলেও অনেকেই অর্ধেক টাকা পেয়েছে। যার কাছেই অভিযোগ দিতে যায়, কেউ দায় নেয় না।
অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থানের কর্মসূচির আওতায় ২০ দিনের মাটি তোলার কাজ করেছেন বলে দাবি করেন নারায়নপুর ইউনিয়নের নাজির আলীর স্ত্রী শাহানা বেগমের। তার স্বামী নাজির আলী বলেন, আমার স্ত্রী ২০ দিনের কর্মসূচিতে কাজ করেছে। কিন্তু অনেকের ফোনে টাকা আসলেও আমাদের আসেনি। তাই উপজেলায় এসেছি ইউএনও স্যারের দেখা করতে ও আমাদের অভিযোগ জানাতে। বাগপাড়া গ্রামের মৃত জমশেদ আলীর ছেলে কামরুজ্জামান জানান, টাকা না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বারবার গেলেও কোন সমাধান পায়নি। তাই বাধ্য হয়েই উপজেলাতে আসতে হয়েছে। এমনকি এখানে আসতেও মানা করেছে চেয়ারম্যান। গতকালকে এখানে (উপজেলা) আসতে গেলে পদ্মা নদীর ঘাট থেকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে আমাদেরকে। উপজেলাতে এসে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা হলে তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেন, কার মাধ্যমে এখানে এসেছো? কেন এসেছো?

এবিষয়ে নারায়নপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির উদ্দিন বলেন, এটি অফিসিয়াল বিষয়। আমরা উপজেলাতে তাদের হাজিরা পাঠিয়েছি। এরপর কেন টাকা আসছে না, এবিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার পারভেজ জানান, ইউনিয়ন অতিদরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থানের কর্মসূচির সভাপতির দেয়া হাজিরা অনুযায়ী আমরা তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করি। এর ভিত্তিতে দিনমজুরদের মুঠোফোনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মজুরি যায়। যারা কাজ করেনি, আমরা তাদেরকে অনুপস্থিত দেখিয়েছি। তাই এই কর্মসূচিতে অনেকেরই টাকা আসেনি। তবে কাজ করেও টাকা আসেনি এমন কোন অভিযোগ পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান বলেন, কাজ শেষ করেও অনেকেই টাকা পায়নি, এমন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris