মঙ্গলবার

১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বিএসএফ’র পোশাকধারী মাদক পাচারকারী রাজশাহীর রেন্টু আটক রাজশাহীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২১ জন গ্রেফতার দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান দিচ্ছে সরকার ধরাছোঁয়ার বাইরে স্বর্ণ পাচারচক্রের মুল হোতারা আরডিএ খাঁচা মার্কেটের দেয়ালে গাছের শেকড়ের ফাঁটল, মারাত্মক ঝুঁকিতে ভবন ফাহাদ বায়োলজি থেকে মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া ২৫৯ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা প্রদান ১৫ মে থেকে বাজারে আসছে রাজশাহীর আম

শিশুর প্রস্রাবে কাপড় নাপাক প্রসঙ্গে ইসলাম কী বলে?

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২

এফএনএস ধর্মপাতা: যেসব শিশু বুকের দুধসহ তরল খাবার খায়, তাদের প্রস্রাবে কাপড় নাপাক হবে কিনা এ সম্পর্কে অনেকেই সন্দেহে থাকেন। তরল খাবার খাওয়া এসব শিশুদের প্রস্রাব পাক নাকি নাপাক এ নিয়ে হাদিসের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। কী সেসব দিকনির্দেশনা?
হজরত উম্মু কাইস বিনতে মিহসান রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি আমার দুগ্ধপোষ্য শিশুকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলাম। সে (শিশু) তখনো শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেনি।
বাচ্চাটি তাঁর (নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোলে প্রস্রাব করে দেয়। তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পানি নিয়ে আসতে বললেন এবং তা প্রস্রাবের জায়গায় ছিটিয়ে দিলেন।’ (বুখারি, মুসলিম, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)
দুগ্ধপোষ্য বা তরল খাবার খাওয়া শিশু যদি কন্যাসন্তান হয়, তবে তার প্রস্রাব (যে কাপড়ে লাগবে) তা অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে। কেননা প্রস্রাব মূলতঃ অপবিত্র। পবিত্রতার জন্য তা ধোয়া আবশ্যক। কিন্তু এসব নাবালক শিশু যদি পুত্র সন্তান হয় তবে তাদের প্রস্রাব এর ব্যতিক্রম। কেননা সুন্নাতে নববিতেই এর প্রমাণ বিদ্যমান। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এসেছে-
১. আবুস সামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমত করতাম। তিনি গোসল করার ইচ্ছে করলে আমাকে বলতেন, তুমি পিঠ ঘুরিয়ে দাঁড়াও। তখন আমি পিঠ ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে আড়াল করে রাখতাম।
একবার হাসান অথবা হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আনা হলে তাদের একজন তার বুকে প্রস্রাব করে দিলেন। আমি তা ধুয়ে দিতে আসলে তিনি বললেন, ‘মেয়ে শিশুর প্রস্রাব ধোয়া আবশ্যক হয়। আর ছেলে শিশুর প্রস্রাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট।’ (নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, বাইহাকি)
২. হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, ‘মেয়েদের প্রস্রাব ধুয়ে নিতে হবে এবং ছেলেদের প্রস্রাবে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট হবে- যতক্ষণ না তারা শক্ত খাবার খায়।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ)
৩. হজরত লুবাবাহ বিনতে হারিস বর্ণনা করেছেন, এক দিন হোসাইন ইবনে আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কোলে থাকাবস্থায় প্রস্রাব করে দিলেন। আমি বললাম, আপনি অন্য একটি কাপড় পরে নিন এবং আপনার এই কাপড়টি ধোয়ার জন্য আমাকে দিন। তিনি বললেন, ‘মেয়ে শিশু প্রস্রাব করলে ধুয়ে নিতে হয়। আর ছেলে শিশু প্রস্রাব করলে তাতে পানি ছিটিয়ে দিলেই যথেষ্ট।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, মুসতাদরেকে হাকেম)
হাদিসের নির্দেশনায় ইসলামিক স্কলারদের সিদ্ধান্ত হলো-
১. শিশু সন্তান যদি ছেলে হয় এবং শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধই তার খাদ্য হয়, তবে তার প্রস্রাব হালকা নাপাক। এটাকে পবিত্র করার জন্য পানির ছিটাই যথেষ্ট। অর্থাৎ হাতে পানি নিয়ে কাপড়ের ওপর এমনভাবে ছিটানো যাতে তা সম্পূর্ণ প্রস্রাবের স্থানকে শামিল করে। তবে তা ঘষতে হবে না এবং তাতে এত বেশি পরিমাণ পানিও ঢালতে হবে না যে, চাপ প্রয়োগ করে কাপড় থেকে পানি বের করতে হয়।
– আর শিশু সন্তান যদি মেয়ে হয় তবে, যে কাপড়ের মধ্যে প্রস্রাব করবে, তা ধুয়ে নিতে হবে। হাদিসের ঘোষণাও এমন।
মনে রাখতে হবে
ছেলে শিশু সন্তান যদি শক্ত খাবার খেতে শুরু করে, তবে অবশ্যই তার প্রস্রাব করা কাপড় ধুয়ে নিতে হবে। নতুবা কাপড় পবিত্র হবে না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris