বুধবার

১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
টকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে গুটি আম পাড়া শুরু হলেও জাতের আম পাড়া হবে ২৫ মে থেকে রাজশাহীতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মিজু গ্যাংয়ের ১১ সদস্য গ্রেফতার বাঘায় দোকান কর্মচারিকে কুপিয়ে হত্যার দুই আসামীর মৃত্যুদণ্ড শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে পশু নিগ্রহের অভিযোগ উৎকণ্ঠার অবসান, স্বজনের বুকে ২৩ নাবিক কলেজে ভর্তি অনলাইনে আবেদন শুরু ২৬ মে, ফাঁকা থাকবে ৮ লাখের বেশি আসন সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান

গাইবান্ধায় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২

এফএনএস : গাইবান্ধার সাঘাটায় পারিবারিক কলহের জেরে এক নারীকে হত্যার দায়ে সাইফুল ইসলাম হাজি ওরফে বাটপার সাইফুল (৩৫) ও আবদুল করিম (২১) নামের দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক। তারা হলেন পারভীন বেগম, আবদুল কুদ্দুস রানা ও কহিনুর বেগম বুলি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলাম হাজি ওরফে বাটপার সাইফুল গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ বেপারীর ছেলে এবং আবদুর করিম একই উপজেলার বসস্তেরপাড়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে পারভীন আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে বিভিন্ন সময় পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছিল। এরইমধ্যে সাইফুল ইসলাম মাদক মামলায় কারাগারে গেলে পারভীন আকতার তার বাবার বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পরে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রী পারভীন আকতারকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই শ্যালক আবদুল করিম মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পারভীন আকতারকে গলা কেটে হত্যা করেন সাইফুল ইসলাম। ৩০ জুলাই সকালে আবদুল করিমের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত পারভীন আকতারের বড় ভাই আজিজুল রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সাঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন সাইফুল ও করিম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্যা কনক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি একটি নৃশৃংস হত্যাকাণ্ড। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া দুজনের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়েছে। তবে মামলার বাকি তিন আসামি নিরাপরাধ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris