সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সংবিধান বদলে সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করার পথে জার্মানি

Paris
Update : মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

এফএনএস : জার্মানির সেনাবাহিনীর আধুনীকিকরণের লক্ষ্যে সরকার যে বিশাল তহবিল গঠন করছে, প্রধান বিরোধী শিবিরের সঙ্গে সে বিষয়ে বোঝাপড়া সম্ভব হয়েছে। ফলে সংবিধানে রদবদলের পথে বাধা দূর হলো। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা শুরুর তিন দিনের মাথায় জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জার্মান সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে ১০ হাজার কোটি ইউরো অংকের বিশেষ তহবিলের ঘোষণা করেছিলেন। সেই সঙ্গে ন্যাটোর মানদণ্ড অনুযায়ী বছরে জিডিপি বা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের কমপক্ষে দুই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়েরও অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পথে গত প্রায় তিন মাসে অনেক বাধাবিপত্তি দেখা গেছে। বিশেষ করে বিশাল অংকের তহবিল ঠিক কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, তা নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এককালীন এই তহবিলের ব্যয়ভার মূল জাতীয় বাজেটের বাইরে রাখতে সংবিধানে রদবদলেরও প্রয়োজন পড়েছে, যার জন্য সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কারণ, বাড়তি ঋণের মাধ্যমে সেই অর্থ সংগ্রহ করা হবে। রোববার  বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গে অবশেষে বিষয়টি নিয়ে রফা করতে পেরেছে জার্মানির সরকারি জোট। শীতল যুদ্ধের অবসানের পর থেকে ধারাবাহিক ব্যয় সংকোচের ধাক্কায় জার্মান সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছিল। ১৯৯০ সালে প্রায় পাঁচ লাখ সৈন্য বুন্ডেসভেয়ারে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা প্রায় দুই লাখে এসে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সামরিক সরঞ্জামের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ বিকল হয়ে পড়েছে। বর্তমানে ৩০ শতাংশেরও কম রণতরি পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব। তার ওপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সামরিক অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে বাড়তি চাপের মুখে পড়ছে বুন্ডেসভেয়ার। ফলে জার্মানির প্রতিরক্ষা ও প্রয়োজনে ন্যাটোর সহযোগীদের সহায়তার ক্ষমতাও সীমিত হয়ে পড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের টনক নড়েছে। গত রোববার  জার্মানির সরকার ও প্রধান বিরোধী শিবিরের মধ্যে বোঝাপড়ার আওতায় ১০ হাজার কোটি ইউরো অংকের বিশেষ তহবিলের ব্যবহার স্থির করা হয়েছে। ফলে সেই অর্থ শুধুমাত্র সেনাবাহিনীর আধুনীকিকরণের কাজে লাগানো যাবে। সাইবার নিরাপত্তা বা প্রতিরক্ষা কাঠামোর বৃহত্তর কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে সেই অর্থ ব্যবহার করা যাবে না। বিশেষ তহবিলের বিষয়টি জার্মানির সংবিধানে অন্তর্গত করার লক্ষ্য স্থির করা হলেও বাৎসরিক প্রতিরক্ষা ব্যয়ের অঙ্গীকার সংবিধানের বাইরেই রাখা হচ্ছে। শলৎসের এসপিডি দলের নেতা সাসকিয়া এস্কেন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বাস্তবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্তের পর সেগুলি হাতে পেতে কয়েক বছর সময় লেগে যায়। ফলে প্রতি বছর একই অংকের ব্যয় সম্ভব হয় না। তাছাড়া জিডিপি-র হিসেব করতেও সময় লাগে। তাই প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ক্ষেত্রে গড় হিসেব প্রয়োগ করতে হবে। প্রতিরক্ষা খাতে জার্মানির দুর্বলতা কাটাতে চ্যান্সেলর শলৎস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উদ্যোগ নিলেও ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার প্রশ্নে ঢিলেমির কারণে দেশে-বিদেশে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ছেন। এমনকি তার সরকার যে সামরিক সরঞ্জামের অঙ্গীকার করছে, বাস্তবে সেগুলির সরবরাহের ক্ষেত্রে দীর্ঘ বিলম্ব দেখা যাচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris