এফএনএস : গতকাল রোববার সকালে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যমুনা পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৯০৪৬) নামক যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্র হারিয়ে রাস্তার সংলগ্ন গাছে সাথে ধাক্কা লেগে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় ১শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ২০ জন। উজিরপুর মডেল থানা পুলিশ, গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ১শিশুসহ ১০জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ছাড়া ২০ জন আহতকে উদ্ধার করে উজিরপুর ও বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে আহত অবস্থায় ১জন ও ৯জন উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত ঘোষনা করা হয়। এ বিষয়ে থানায় কোন মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ, হাইওয়ে পুলিশের ওসি শেখ বেল্লাল, উজিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আঃ রাজ্জাক মোল্লা, গৌরনদীর ইনচার্জ বিপুল। বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, গতকাল রোববার সকালে ওই ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান, সদস্য বরিশাল বিআরট্এি উপ-পরিচাল ও উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ’কে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক আরো জানান, বিভাগীয় কমিশনার স্যার হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছেন এবং নিহতদের দাফনে ২০ হাজার টাকা করে সহয়তার ঘোষণা দিযেছেন। স্থানীয় ও হাইওয়ে, থানা পুলি এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, যমুনা লাইন পরিবহনটি রাতে গাবতলী থেকে ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে উজিরপুরের সানুহার বামরাইলের মধ্যবর্তী আইয়ুব আলী হাওলাদারের বাড়ির সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ঝালকাঠি জেলা সদরের নেওড়ী এলাকার মনির হোসেন হাওলাদারের ছেলে আরাফাত হোসেন হাওলাদার (৯), পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর ভেচকি এলাকার কুদ্দুস আকনের ছেলে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), রাকিব আকনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (২০), বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাজিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছেলে হালিম মিয়া (৩১),

ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার মৃত আওলাদ আলীর ছেলে সেন্টু মোল্লা (৫০) ও বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মুন্ডুপাশা গ্রামের মনোরঞ্জন শীলের ছেলে মাধব শীল (৪৫), বাকেরগঞ্জ উপজেলার সুন্দরকাঠি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারে ছেলে রমজান হাওলাদার (৩৮)। ইতোমধ্যে এদের লাশ সনাক্ত করেছে স্বজনরা। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। গাড়ি চালকের মৃতু হয়েছে কিনা এ বিষয়ে সুনিচ্চিত পুলিশ কিছুই জানাতে পারে নাই। উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার রাকীব হোসেন ও ডাক্তার শারমিন জাহান স্বর্ণা জানান, সকাল থেকে সড়ক দূর্ঘটনায় ৯জনকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে এবং আহত ৭জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে গ্রেরণ করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কজনক। উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানায়, থানায় কোন মামলা হয়নি। চালকের মৃতু হয়েছেকিনা একনও নিচ্ছিত হতেপারি নাই। বরিশাল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান, সদস্য বরিশাল বিআরট্এি উপ-পরিচাল ও উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ’কে। কমিটিকে আগামী ৭ কর্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে।