সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পিতার ফুটপাতে মিষ্টির দোকানে কর্মী বিসিএস ক্যাডার দুই ভাই

Paris
Update : শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

এফএনএস : রাজশাহীর বাঘায় পিতার ফুটপাতে মিষ্টির দোকানে ছুটিতে এসে বিসিএস ক্যাডার দুই ভাই দোকানদারী করছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আড়ানী পৌর বাজারের চাল হাটায় পিতার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে কর্মী হিসাবে দুই ভাইকে মিষ্টি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তারা দুই ভাই আড়ানী উচ্চবিদ্যালয় ও ডিগ্রী কলেজে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকপাশ করেন। তারপর অমিত কুমার পাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে তিনি ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করে সান্তাহার সরকারি কলেজে যোগদান করেন। এই কলেজ থেকে তিনি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার চার মাস মেয়াদে বুনিয়াদী প্রশক্ষনে অংশগ্রহণ করে দেশ সেরা হিসেবে নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এদিকে মৃনাল কুমার পাল মিঠন এমবিবিএস শেষে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে।

তারা রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর বাজারের স্বর্গীয় হিতেন কুমার পালের নাতী ও বাবু উত্তম কুমার পাল ও বাসনা রানী পালের ছেলে। তাদের বাবা উত্তম কুমার পাল একজন আড়ানী বাজারের ফুটপাতের ক্ষুদ্র মিষ্টি বিক্রেতা। মা গৃহীনি। বোন মিতা রানী পাল সম্প্রতি সরকারি একটি অফিসের অফিসার পদে যোগদান করেছেন। তারা দুই ভাই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে পিতার ফুটপাতের মিষ্টির দোকানে বসে দোকানদারী করেন। এ বিষয়ে অমিত কুমার পাল বলেন, আমরা অত্যান্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বাবা ফুটপাতে মিষ্টি বিক্রি করে দুই ভাই ও এক বোনকে মানুষ করেছেন।

আমি ৩৫ তম বিসিএস শিক্ষা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একটি কলেজে যোগদান করেছি। সেখান থেকে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ পরীক্ষায় দেশ সেরা হয়েছি। আমরা কোন কিছুকে খাটো করে দেখি না। সুযোগ পেলেই দুই ভাই বাবার ফুটপাতের দোকানে বসে সহযোগিতা করি। মৃনাল কুমার পাল মিঠন বলেন, ঈদের ছুটি কাটাতে কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামে এসেছি।

কিন্তু কী আর করা বাবার ব্যবসা ছোট হলেও রমজান উপলক্ষে দোকানে ভিড় বেড়েছে, বাবা একা মানুষ কোন দিকে যাবে! তাই বাবার অন্য ব্যস্ততায় দোকান সামলাতে দুই ভাই সহযোগিতা করছি। সুযোগ পেলেই সহযোহিতা করি। পিতা বাবু উত্তম কুমার পাল বলেন, আমার ছেলে মেয়েদের কখনো ভাল প্রাইভেট, ভাল পোশাক, খাদ্য, ঘুমানোর ভাল জায়গা দিতে পারেনি। আমার ও আমার স্ত্রী বাসনা রানীর সার্বিক প্রচেষ্টায় আজ ছেলে ভাল জায়গায় এসেছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris