সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুস্থ হয়ে পরিবার নিয়ে বাঁচতে চায় নাহিদ

Paris
Update : বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

নিয়ামতপুর থেকে প্রতিনিধি : নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ডেলিভারি করে সামান্য টাকা আয় হতো, তা দিয়েই কোনরকমে চলতো স্ত্রী ও দুই সন্তানের সংসার। কিন্তু অল্প বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধে কিডনি রোগ জনিত সমস্যা। নাহিদের দুই কিডনিতেই সমস্যা রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। ফলে শারীরিক অসুস্হতার কারণে ছেড়ে দিতে হয় উপার্জনের একমাত্র উপায়টুকু। বর্তমানে নাহিদ নানার বাড়িতে শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছে। নাহিদ (২৫) উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের রামকুড়া গ্রামের নাজিরুল ইসলামের ছেলে।

বর্তমানে অর্থ সংকটে নিভে যেতে বসেছে নাহিদের জীবন প্রদীপ। বিগত ৬ মাস আগে দুই কিডনিতেই সমস্যা ধরা পড়ে। বর্তমানে নাহিদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সাবেক বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মনোয়ারুল ইসলামের অধীনে চিকিৎসা করছেন। এ পর্যন্ত চিকিৎসা করতে তার পরিবারের প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাবা নাজিরুল ইসলাম বলেন, ছেলের কষ্ট সহ্য করতে পারছি না। কিন্তু চায়ের স্টল করে যে কয় টাকা আয় হয় তা দিয়ে নিজের সংসার পরিচালনা করাই কঠিন হয়ে পড়ে। এখন ছেলের জন্য মানুষের কাছে হাত পেতে চাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

বর্তমানে নাহিদ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নানার বাড়িতে রয়েছেন। তার নানা সাইদুর রহমান বলেন, আমার সামান্য আয়ে চলে ৬ সদস্যের সংসার। এর মধ্যে নাতির চিকিৎসার জন্য খরচ করছি। কিন্তু ডাক্তার এখন ডায়ালাইসিস করতে বলেছে যা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ। আমার পক্ষে এই চিকিৎসার ব্যয়ভার করা সম্ভব হচ্ছে না।

নাহিদ বলেন, আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান। এখন ডায়ালসিস করতে প্রায় ১ লক্ষাধিক টাকা লাগবে । এখন সরকার ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহযোগিতা ছাড়া আমার পক্ষে এই চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব না। কিডনি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যতদ্রুত সম্ভব ডায়ালাইসিস করতে হবে। তাছাড়া খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। নাহিদকে সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৩০২৪৮৯২০৯, জনতা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর – ০১০০২২৫৭২২৩৯৫।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris