সোমবার

১৭ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবি

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০২২

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামে ট্রিপল মার্ডারের পরিকল্পিত হত্যাকারি মামলার আসামী হাসেম আলী, সাইদুল, আইজুল, জালাল, জাহেদ, সোহাগ ও হেলালসহ অন্যান্য সকল আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টায় নওগাঁ আদালতের সামনের সড়কের ‘সচেতন নাগরিক ও পরিবারবর্গ’ এর উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মিঠাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মীর আলমগীর হোসেন, নিহত শহিদুল ইসলাম দুলুর ছেলে রবিউল ইসলাম, ভাই ফিরোজ হোসেন, এলাকাবাসী ইউসুফসহ অন্যান্যরা। মানববন্ধনে নিহতের ছেলে ফরহাদ হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে প্রকাশ্য দিবালোকে পরিকল্পিত ভাবে হাসেম আলী, ছাইদুল, আইজুল হক, জালাল হোসেন, হেলাল হোসেন, বেলাল, জায়েদ গংরা হামলা চালিয়ে আমার বাব শহিদুল ইসলাম দুলু, চাচা আমজাদ ও মামা আব্দুল ওয়াদুদকে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা করলে পুলিশ সাত আসামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়। বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারসহ তাদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানান তিনি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বদলগাছী উপজেলার উজালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ হোসেন ও আব্দুল ওয়াদুদের সাথে প্রতিপক্ষের বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে গত ২০১৪ সালের ৬ জুন বিকাল ৩টার দিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে একই গ্রামের হাসেম আলী, ছাইদুল, আইজুল হক, জালাল হোসেন, হেলাল হোসেন, বেলাল, জায়েদ গংরা হামলা চালিয়ে তাদের তিনজনকে আহত করে। গুরুত্বর আহতাবস্থায় শহিদুল ইসলাম দুলু, আমজাদ ও আব্দুল ওয়াদুদকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টায় শহিদুল ইসলাম দুলু মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমজাদ ও আব্দুল ওয়াদুদ কে রাজশাহী মেডিকেল হাসাপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টায় আমজাদ এবং পরদিন ৭ জুন সকাল সাড়ে ৬টায় আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এই ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম দুলুর ছেলে ফরহাদ হোসেন বাদী হয়ে ২২ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ সাতজনক আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। ২২ জন আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে দুইজন মারা গেছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris