স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মৌগাছি বাজারে নওগাঁ মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় ১০ শতক জমি জোড়পূর্বক দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ৪নং মৌগাছি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ^াসের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শরমিন ও তার পরিবার একাধিকবার অনুরোধ করার পরেও উক্ত স্থানটি জোড়পূর্বক দখল করে সেখানে মৌগাছি হাট সম্প্রসারণের অপচেষ্টা করছেন হাটের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল আমিন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহীর মোহনপুর থানাধীন মৌগাছি এলাকার বাটুপাড়া মৌজা অন্তর্গত ০.০৭ শতক জমি মজিবর রহমানের কাছ থেকে ক্রয় করেন মৃত আক্কাছ মিয়ার মেয়ে শাহ্ তানজিয়া শরমিন। তিনি উক্ত জমিটি ক্রয় করেন ১৯৯৬ সালে। ঠিক তার দুই বছর পরে ১৯৯৮ সালে একই দাগের অন্তর্গত ০.০৩ শতক জমি শাহ্ তানজিয়া শরমিন ক্রয় করেন এমদাদুল হক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে। উভয় দলিলদাতা বা বিক্রেতার বিক্রিত জমির দাগ নং সাবেক ১৮৭ হাল ১১১ জমির শ্রেণী মাঠিয়াল।
উক্ত ক্রয়কৃত জমি দুটো প্রায় দুইযুগ ধরে কোন প্রকার বাঁধাবিঘ্ন ব্যতীরেকেই ক্রেতা নিরঙ্কুশ ভাগে ভোগ দখল করলেও জমিটি ক্রয় করার পর ক্রেতা বা দলিল গ্রহীতা পারিবারিক নানা ঝামেলাই জর্জরিত থাকায় উক্ত ক্রয়কৃত জমি দুটো নিজ নামে খারিজ বা নামজারি করতে পারেনি। আর এই সুযোগে উক্ত এলাকার ভূমিদস্যু নামে খ্যাত মৌগাছি ৪ নং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ^াস জোড়পূর্বক উক্ত জায়গাটি দখল করার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী তানজিয়া শরমিনের।
জমির মালিক তানজিয়া শারমিন রাজশাহী নগরীর উপশহর হাউজিং এষ্টেট এলাকার মৃত আক্কাছ মিয়ার মেয়ে ও নগরীর সিরোইল এলাকার শাহ্ শাবাব আলীর স্ত্রী। এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাবাব আলীর স্ত্রী ও বৈধ দলিল গ্রহীতা তানজিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার ক্রয়কৃত জমিটি (ডোবা) দীর্ঘদিন ধরে নামজারি না করা আর জমির মূল্য বর্তমানে আকাশচুম্বি হওয়াতে অভিযুক্ত ও চিহিৃত ভূমিদস্যু চেয়ারম্যান আলামিনের চোঁখে পরে। উক্ত ডোবাটি তিনি রাতারাতি জোড়পূর্বক ভরাট করে ফেলেন।
জবর দখলের সময় তাকে বাঁধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান আল আমিন রাজনৈতিক ক্ষমতা ও পেশিশক্তির অবৈধ প্রয়োগ ঘটায়। উক্ত দখলকৃত জায়গাটি মৌগাছি বাজার ও প্রধান সড়ক সংলগ্ন হওয়াতে স্থানটি চেয়ারম্যানের কুনজরে পড়েছে বলে মন্তব্য তানজিয়ার স্বামী শাহ্ শাবাব আলীর। উল্লেখ্য, ভূমিদস্যুদের কুনজর এড়াতে ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগী তানজিয়া শারমিন উক্ত ক্রয়কৃত জমি দুটো নিজ নামে নামজারি করার আবেদন করেছন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
কেনো জোড়পূর্বক বেআইনী ভাবে দখল করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটি অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আল আমিনের কাছে ভুক্তভোগী তানজিয়া শরমিনের স্বামী শাহ্ শাবাব আলী জানতে চাইলে তিনি বলেন, উক্ত ডোবাটি মৌগাছি বাজার সংলগ্ন হওয়াতে সকলের সুবিাধার্থে স্থানটি নিজ খরচে ভরাট করছি। একই বিষয়ে চেয়ারম্যান আল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি পত্রিকার প্রতিবেদককে বলেন, এমপি মহোদয়ের বরাদ্দে কিছু খাজ জায়গা বাজার ও ক্রেতা-বিক্রেতার স্বার্থে ভরাট করা হয়েছে। আমার নামে যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে সেটি মিথ্যা।