সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চান মা

Paris
Update : বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি : ২০ দিন ধরে নিখোঁজ মেয়ের সন্ধানে ছবি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন অসহায় মা। পথচলতি মানুষকে সেই ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করছেন, মেয়েটিকে কোথাও তাঁরা দেখেছেন কি না! ঘটনাটি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার। জানা গেছে, চারঘাট উপজেলার অনুপামপুর গ্রামের জাহানারা বেগমের মেয়ে ইতি বেগম তাঁর স্বামীর বাড়ি থেকে গত ২০ দিন আগে নিখোঁজ হয়। ইতি বেগম উপজেলার ডাকরা গ্রামের রাহাবুল ইসলামের স্ত্রী এবং বারো ও আট বছর বয়সী দুই সন্তানের জননী।

নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চেয়ে গত পাঁচ ফেব্রুয়ারী চারঘাট মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন মা জাহানারা বেগম। জাহানারা বেগম জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারী মেয়ে জামাই রাহাবুল ইসলামের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর মেয়ে ইতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খুঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে মেয়ের ছবি নিয়ে রাস্তা রাস্তা ঘুরছেন তিনি। তবে মেয়ের নিখোঁজের জন্য জামাই রাহাবুল ইসলামকে দায়ী করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, অনেক আগে মেয়ের বাবা মারা গেছে, আমি একটি ক্লিনিকে আয়ার কাজ করি। তারপরও বিয়ের এত বছর পর জামাই মাঝে মধ্যে যৌতুক নিতে মেয়ের উপরে চাপাচাপি করে। আমি টাকা দিতে পারিনি। এরপর থেকে মেয়েকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে দিতো। হঠাৎ সেদিন এসে বলে আপনার মেয়ে খুঁজে পাচ্ছিনা। আমি থানায় জানালেও জামাই থানাতেও জানাইনি। আমার মেয়ের খোঁজ না করে জামাই সিলেটে কাজে চলে গেছে। এখন মেয়ের খোঁজে আমি একাই রাস্তা রাস্তা ঘুরছি। আমার ধারণা এই নিখোঁজের পেছনে আমার মেয়ে জামাই জড়িত আছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইতি বেগমের স্বামী রাহাবুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী ইতি বেগমের সাথে পারিবারিক কোনো ঝামেলা ছিল না। সিলেটে রডমিস্ত্রির কাজ করি। এ মাসের শুরুতে বাড়িতে থেকে সিলেট আসার তিনদিন পর শুনি সে বাড়ি থেকে চলে গেছে। আমি তাৎক্ষণিক বাড়িতে গিয়ে থানায় যোগাযোগ করি৷ পুলিশ বলে মেয়ের মা জিডি করেছে আর নতুন জিডি হবেনা। আমি কয়েক জায়গায় খুঁজে না পেয়ে আবারও সিলেট কাজে চলে এসেছি।

আর যৌতুকের টাকা নিয়ে কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং আমার নিজের ধার দেওয়া পাওনা টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ইতি বেগমের ২০ দিন ধরে নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা জিডি পেতে তাৎক্ষণিক সকল থানায় তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। এছাড়া ওই নারীকে খুঁজতে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris