রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর দরজা খুললো, মালদ্বীপে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠাতে চুক্তি অনুমোদন

Paris
Update : সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

এফএনএস : বাংলাদেশ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালের কুয়ালালামপুরে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এই চুক্তির ফলে দীর্ঘ তিন বছর পর আবারও বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সুযোগ উন্মুক্ত হলো। এর আগে, স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় মালয়েশিয়ায় পৌঁছান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ। জানা গেছে, এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশি কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকর্তাই বহন করবেন।

এসব খরচের মধ্যে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় আনয়ন, আবাসন, কর্মে নিয়োজন এবং কর্মীর নিজ দেশে ফেরত প্রেরণের খরচ ইত্যাদি। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত খরচসহ সব ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা প্রতিষ্ঠান বহন করবেন। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণও নিশ্চিত করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটি মহাপরিচালক মো শহীদুল আলম, শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, শ্রম কাউন্সিলর (দ্বিতীয়) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল এবং মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারাসহ উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, দেশের জন্য অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় আগে নিয়মিত শ্রমিক পাঠানো হলেও বাংলাদেশি কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ২০১৮ সাল থেকে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে চুক্তি স্বাক্ষরের অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়ার মন্ত্রিপরিষদ।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠাতে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল রোববার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এটি অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মালদ্বীপ যাচ্ছেন। এটা মালদ্বীপের সঙ্গে আমাদের কোয়ালিফাইড হেলথ প্রফেশনাল (স্বাস্থ্যকর্মী) গ্রহণের জন্য একটা চুক্তি। আমাদের এতোদিন একটা এমওইউ ছিল, সেটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর্মী যেতেন।

এটাকে (এমওইউ) ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাড়াতে চায় মালদ্বীপ। এমওইউ- কে একটি চুক্তির মধ্যে নিয়ে আসতে চায় দেশটি। এমওইউ হলে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু এগ্রিমেন্ট (চুক্তি) হলে বাইন্ডিং (বাধ্যবাধকতা) সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, কোয়ালিফাইড হেলথ প্রফেশনাল, ক্লিনিক্যাল স্পেশালিস্ট, পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্ট, ডেন্টাল সার্জন, নার্সেস অ্যান্ড আদার অক্সিলারি স্টাফ নেবে মালদ্বীপ। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মালদ্বীপ যাবেন এবং সেখানে এই চুক্তিটা স্বাক্ষর হবে। সেই ক্ষেত্রে আমাদের দেশের মেডিকেল প্রফেশনের বেশকিছু ক্যাটাগরির লোক যেতে পারবে। এদিকে মালদ্বীপের কারাগারে থাকা সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে একটি চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান। মালদ্বীপের কারাগারে ৪৩ জন দণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশি রয়েছেন। একই সঙ্গে দেশটিতে ৪০ জন বাংলাদেশির বিচার চলছে। তবে বাংলাদেশে কোনো মালদ্বীপের নাগরিক কারাবন্দি নেই বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপ সফলে গেলে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে বলেও জানান তিনি। আগামী ২২ ডিসেম্বর মালদ্বীপ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris