রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বাগমারায় অবৈধ ড্রাম চিমনির ইট ভাটায় রাতে অভিযান সকালে চালু!

Paris
Update : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ব্যাঙ্গের চাতার মতো গড়ে উঠেছে সরকার নিষিদ্ধ ড্রামচিমনী ইটভাটা। এতে করে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। সেই সাথে ক্ষতির মূখে পড়েছে তিন ফসলী জমি। সরকারী নিষিদ্ধ ১৮টি অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ড্রাম চিমনির ইটভাটা উচ্ছেদ ও ওই সকল ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলাসহ উপজেলা প্রশাসন।

অভিযানের ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের শালমারা গ্রামের শফিকুল ইসলাম এবং নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা গ্রামে জাহিদুল ইসলামের ড্রামচিমনী ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চিমনী ভেঙ্গে দেয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান। প্রশাসনের উপস্থিত বুঝতে পেরে সে সময় ভাটা কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। কাউকে না পেয়ে ড্রামচিমনী ভেঙ্গে ফেলা হয়। এদিকে মঙ্গলবার সকালে অভিযানকৃত ওই দুই ইটভাটা আবারও চালু করেছে তারা। রাতে অভিযান চললেও সকালে অবৈধ ইটভাটা চালু হওয়ায় স্থানীয়বাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেই সাথে অবৈধ ড্রামচিমনী ভাটা চালানোর অভিযোগে গত ১৭ নভেম্বর গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের বাড়িগ্রাম-দৌলতপুর মোড়ে আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যক্তির ইটভাটায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।

দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাগমারার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ওই সমস্ত ইটভাটা। কিছু কিছু ইটভাটায় বছরে দু একবার অভিযান চালানো হলেও পরবর্তীতে আবারও ওই ভাটাগুলোতে কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। এ সমস্ত ইটভাটায় দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। কখনো কখনো সরকারি রাস্তার গাছ রাতের আঁধারে কেটে রেখে তা পুড়ানো হয় বলেও জানা যায়। বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়রা অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর, উপজেলা ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়না বলেও ইটভাটার আশেপাশে বসবাসকারীরা অভিযোগ করেন।

২০১৩ সালে ড্রাম চিমনি ও কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আইন প্রনয়ন হলেও মাঠ পর্যায়ে তার কোন প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় না। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। কিছু ইটভাটা মালিক প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে তাদের অবৈধ ইটভাটা পরিচালনা করে আসছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, উপজেলায় যে সমস্ত ড্রাম চিমনির অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে পর্যায়ক্রমে সেগুলো উচ্ছেদ সহ ওই সকল মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris