শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার করবে জেলা পরিষদ ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা

পুত্রবধূ শর্মিলা বললেন খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন না

Paris
Update : বুধবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২১

আরা ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। গতকাল মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাবার সময় শর্মিলা সংবাদিকদের এ কথা জানান। এদিন দুপুর দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সিঁথি বেগম জিয়ার পাশে অবস্থান করেন। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাবার সময় শর্মিলা বলেন, ‘আম্মা স্টেইবল আছেন।’ রক্তক্ষরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সিঁথি বলেন, ‘উনি ভালো আছেন, তবে উনি কথা বলতে পারছেন না।’

সিঁথি বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন। তার হাসপাতালে অবস্থানকালে মেডিকেল বোর্ডের তিন সদস্য মেডিকেল বোর্ডের প্রধান সাহাবুদ্দীন তালুকদার, ডা এফ এম সিদ্দিকী ও ডা. এ বিএম জাহিদ হাসপাতালে আসেন। গত ১৩ নভেম্বর বেগম জিয়া এভার কেয়ারে ভর্তি হন। হাসপাতালে কয়েক দফা তার রক্তক্ষরণ হয়। ২৭ নভেম্বর মেডিকেল বোর্ড বেগম জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় সংবাদ সম্মেলনে তার লিভার সিরোসিস সনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

অসুস্থতার জন্য এর আগে টানা ২৬ দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। এর আগে এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। পরে করোনা পরবর্তী জটিলতায় ২৭ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হন। সে সময় এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। পরে করোনার টিকা নিতে তিনি দু’দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান।

গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীরে জ্বর দেখা দেয়। এরপর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত ২৫ অক্টোবর শরীরের টিউমার ধরা পড়ায় খালেদা জিয়ার বায়োপসি করা হয়। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনার কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এখন পর্যন্ত চার বার খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris