শনিবার

২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী নগরীর বনলতা হোটেলে অভিযান, মালিকসহ ১৭ জন আটক বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জোরালো হচ্ছে ধানের দাম বেশি-ঈদের ছুটির অজুহাতে চালের বাজার চড়া প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর করার পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য সীমান্তের ওপারে জড়ো হয়েছে হাজারো রোহিঙ্গা নাচোলে আমবাগান পরিদর্শন করলেন ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত বাঘায় বাবুল হত্যাকান্ড নিয়ে এমপি শাহরিয়ারের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ঈর্শাপরায়ণ : মেয়র লিটন বাঘায় আ’লীগ নেতা বাবুল হত্যা মামলায় চেয়ারম্যানসহ ৭ আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর পবিত্র কাবাঘর সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন যিনি ৪১০ মিলিয়ন বছর আগে ‘ফুটন্ত শিলা’ যেভাবে মঙ্গোলিয়ায় মহাসাগর সৃষ্টি করেছিলো

রাজশাহীর ১৩ ইউপিতে চেয়ারম্যান হলেন যারা

Paris
Update : সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর দুই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুই উপজেলার ১৩ ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতিকে ১০, আ’লীগের বিদ্রোহী ২ ও ১ জন জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল রাববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলার পবা উপজেলার সাতটি এবং মোহনপুর উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

পবা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে চার জন এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) হিসেবে তিন জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। বাকি একটিতে জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তবে হরিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী মনোনীত নৌকার প্রার্থী আগেই বিজয়ী হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পবা উপজেলায় বিজয়ীরা হলেন হুজুরীপাড়া ইউনিয়নে বিজয়ী নৌকা প্রতিকে গোলাম মোস্তফা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দেওয়ান রেজাউল করিম (মটরসাইকেল)।

দামকুড়া ইউনিয়নে বিজয়ী নৌকা প্রতিকে রফিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি স্বতন্ত্র আব্দুস সালাম। বড়গাছী ইউনিয়নে বিজয়ী নৌকা প্রতিকে শাহাদত হোসাইন সাগর। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র সোহেল রানা। এছাড়াও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দর্শনপাড়া ইউনিয়নে শাহাদত হোসেন সাব্বির (আনারস), তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতিকের কামরুল হাসান রাজ। পারিলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী সাঈদ আলী মোরশেদ (ঘোড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী সাইফুল বারী ভুলু (আনারস) ও হড়গ্রাম ইউনিয়নে বিজয়ী জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র আবুল কালাম আজাদ (অটো-রিকশা) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতিকের ফারুক হোসেন। এরআগেই হরিপুর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী মনোনীত নৌকার প্রার্থী বজলে রেজবি আল হাসান মুঞ্জিল। এদিকে জেলার মোহনপুর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবক’টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। যারমধ্যে মৌগাছি ইউনিয়নে আল আমিন বিশ্বাস, ধুরইল ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন, রায়ঘাটি ইউনিয়নে বাবুল হোসেন, ঘাষিগ্রাম ইউনিয়নে আজহারুল ইসলাম, বাকশিমইল ইউনিয়নে আব্দুল মান্নান ও জাহানাবাদ ইউনিয়নে হযরত আলীকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
রাজশাহীতে তৃতীয় ধাপে এ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

কোথাও কোন অপ্রিতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত ১২৬ টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে চলে ভোট গ্রহণ। সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পেরে ভোটাররা আনন্দিত। এর আগে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নির্বাচন কমিশন। কাশিয়াডাংগা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা হড়গ্রাম ইউনিয়নের পুকুরিয়া গ্রামের ৬৮ বছরে বৃদ্ধা লুৎফর নেসা বলেন, ‘বহুদিন পর এইবার ভালোভাবেই ভোট দিয়েছি। কোনো সমস্যা হয় নাই। সকাল ৮টায় ভোট শুরু হবে। সে জন্য সকাল সকাল বাড়ি থেকে সেন্টারে আসছি। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। তবে নিজের ভোট নিজে দিতে পেরে সে খুব খুশি।

পারিলা ইউপি’র হাটরামচন্দ্রপুর ডিগ্রী কলেজ ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পঙ্গু বৃদ্ধা বাবলুর রহমান বলেন, দুই ছেলের সাথে ভোট দিতে এসেছি। খুব সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ভোট দিতে পেরেছি। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সর্বোপরি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এমন কথা জানিয়েছে অনেক ভোটাররা। বড়গাছীর ভালাম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নতুন নারী ভোটার বলেন, ভোট কেন্দ্রে আসার আগ অনেকে বিভিন্ন রকম কথা বলেন যা আগেও শুনেছি। কিন্তু কেন্দ্রে এসে দেখি সেগুলো ছিলো গীবদ ও গুজব। বর্তমানে স্কুল কলেজে ভর্তি হতে যে বেগ ও বিড়ম্বনা পেতে হয় তার ছিটে ফোটাও বিড়ম্বনা নেই ভোট কেন্দ্রে। খুব সুন্দর, সুষ্ঠু ও ভালভাবে পচন্দের প্রার্থীকে ভোট ভোট দিয়ে বাড়ী ফিরছি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris