মঙ্গলবার

১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ১২৬০০ ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ রাজশাহীতে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ রুয়েটের নতুন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান বিএসএফ’র পোশাকধারী মাদক পাচারকারী রাজশাহীর রেন্টু আটক রাজশাহীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২১ জন গ্রেফতার দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদান দিচ্ছে সরকার ধরাছোঁয়ার বাইরে স্বর্ণ পাচারচক্রের মুল হোতারা আরডিএ খাঁচা মার্কেটের দেয়ালে গাছের শেকড়ের ফাঁটল, মারাত্মক ঝুঁকিতে ভবন ফাহাদ বায়োলজি থেকে মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া ২৫৯ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধণা প্রদান ১৫ মে থেকে বাজারে আসছে রাজশাহীর আম

চীনের সরকারি হিসাব থেকে হাওয়া ১ কোটি ১৬ লাখ শিশু

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

এফএনএস : চীনে ২০০০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত জন্ম নেয়া কমপক্ষে এক কোটি ১৬ লাখ শিশুর কোনো হিসাব নেই বা তাদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানে না চীন। সেখানে এক সন্তান নীতির কারণে এসব শিশু রয়েছে গণনার বাইরে। তাদের যে সংখ্যা তা বর্তমানে বেলজিয়ামের মোট জনসংখ্যার সমান। এ খবর দিয়ে অনলাইন ব্লুমবার্গ বলছে, সর্বশেষ চীন সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওই সময়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা ১৭ কোটি ২৫ লাখের মতো। ২০০০ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীদের বয়সভিত্তিক যে পরিসংখ্যান ২০১০ সালের শুমারিতে প্রকাশিত হয়েছে, তাদের সংখ্যা ১৬ কোটি ৯ লাখ।

ফলে এই শুমারিতে হাওয়া হয়ে গেছে এক কোটি ১৬ লাখের মতো শিশু। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে ভীতি। এক সন্তান নীতি ভঙ্গ হবে এবং এটা হলেই কঠোর শাস্তি পেতে হবে- এমন ভয় ছিল অভিভাবকদের মধ্যে। তাই অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করাননি। ২০১৬ সালে প্রথম দুই সন্তান নীতি ঘোষণা করে চীন। এর ফলে সব দম্পতিই দুটি সন্তান নিতে পারবেন। নিরপেক্ষ জনসংখ্যাতত্ত্ববিদ হি ইয়াফু বলেন, এর অর্থ হলো কিছু অভিভাবক এ কারণে নবজাতকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে রিপোর্ট নাও করতে পারেন, যতক্ষণ তাদের বয়স ৬ বছর না হবে। এ সময়ে তাদেরকে স্কুলে নিবন্ধিত হতে হয়।

তখন তাদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি বা তাদের জন্মের বিষয়ে সরকারিভাবে ঘোষণা দিতেই হয়। এই সময়টা অতিক্রম করে পরে যেসব শিশুর জন্মের বিষয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে তার মধ্যে কন্যাশিশু শতকরা প্রায় ৫৭ ভাগ। কারণ, অভিভাবকরা কন্যাসন্তান হলেই তার নিবন্ধন করাতে চাননি, যাতে তারা একটি ছেলে সন্তানের জন্য চেষ্টা করতে পারেন। উপরন্তু ২০১০ সালের শুমারি করা হয়েছে ওই বছর ১লা নভেম্বর। ফলে ওই বছরে নভেম্বরের বাকি সময় এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব শিশু জন্ম নিয়েছে, তারা এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। শুমারিতে যেসব মানুষ মারা গেছেন অথবা এ বছরগুলোতে দেশত্যাগী হয়েছেন তাদের সংখ্যাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে রিভিশন করতে গিয়ে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটিতে জনসংখ্যা যথাযথভাবে গণনা করা কতটা কঠিন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris