রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি : দুই কর্মকর্তা বরখাস্ত

Paris
Update : শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১

এফএনএস : রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এখনও আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এরইমধ্যে বেরিয়ে এলো বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরীক্ষায় জালিয়াতিতে সহযোগিতা করায় দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন যুগ্ম পরিচালক মো. আলমাস আলী ও আবদুল্লাহ আল মাবুদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিসিটিভি অপারেটর পদে নিয়োগে জালিয়াতিতে সহযোগিতা ও পরিকল্পনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সিসিটিভি অপারেটর পদের ২৬টি শূন্য পদের জন্য ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ পদের জন্য লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ ছিল গত বছরের ২৭ মার্চ। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে পরীক্ষা স্থগিত হয়। পরে একই বছরের ১৬ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় ৭০০ জনের মধ্যে অংশ নেন ১৪২ জন। আর উত্তীর্ণ হন ২১ শতাংশ পরীক্ষার্থী। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তথ্য যাচাইকালে আবু বকর সিদ্দিক নামে এক পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র ও নিজের হাতের লেখার মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি। ওই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেন যে তিনি নিজে পরীক্ষায় অংশ নেননি। অর্থাৎ তার পক্ষে অন্য কেউ পরীক্ষা দিয়েছেন। এই আলোচিত ঘটনাটি বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দেন গভর্নর ফজলে কবির।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে উঠে আসে, ওই পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে নিত্যানন্দ পাল নামে একজন অংশ নেন। এই অনিয়মের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ আর আর্থিক লেনদেন করেন অপর যুগ্ম পরিচালক মো. আলমাস আলী। এজন্য আলমাস আলীর অ্যাকাউন্টে বড় অঙ্কের অর্থ যোগ হয়। পরীক্ষায় অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও মো. আলমাছ আলীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই তদন্ত কমিটি। গত ১৩ জুন আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও মো. আলমাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই অনিয়মের ঘটনায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য সিসিটিভি অপারেটর পদে গত বছরের ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ায় প্রাথমিকভাবে ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও মো. আলমাস আলীকে চলতি বছরের ১৩ জুন সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং অভিযোগের সার্বিক বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন। তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris