এফএনএস : দেশের ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৫০টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫৭ সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন ছাত্র ও ১ লাখ ৪ হাজার ৫৯৯ জন ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছেন ১৫ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এরমধ্যে ৪৬টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ হাজার ১৫০টি শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। গতকাল সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ভূমি জরিপ শিক্ষার উন্নয়নকল্পে ‘বাংলাদেশ ভূমি জরিপ শিক্ষার উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশের চার জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি সার্ভে প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করা হচ্ছে। বিদ্যমান দু’টি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কুমিল্লার রামমালায় বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউট ও রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট। নতুন করে আরও দু’টি ভূমি জরিপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি পটুয়াখালীর দশমিনায় ‘পটুয়াখালী ল্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট’ ও আরেকটি যশোরের মনিরামপুরের ‘যশোর ল্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউট’।
এদিকে প্রাথমিক স্তরে যে সকল শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা জটিলতা নেই, তাদের পেনশন যথাসময়ে মঞ্জুর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। গতকাল সোমবার সংসদে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক স্তরে যে সকল শিক্ষকের চাকরি সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা জটিলতা নেই, তাদের পেনশন যথাসময়ে মঞ্জুর করা হচ্ছে এবং তাদের অবসর ভাতা ইএফটির মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের চাকরি এবং বেতন-ভাতা নির্ধারণজনিত সমস্যার কারণে তারা অতিরিক্ত গৃহীত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদান/ফেরত দিয়ে তাদের পেনশন নিচ্ছেন না। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মাঠ প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকল অবসর ভাতা মঞ্জুর করেন। পেনশন কেস প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও জেলা পর্যায়ে কল্যাণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।