এফএনএস : বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্বশুরকে বাবা বানিয়ে কোটায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অফিস সহায়ক (পিয়ন) পদে চাকরি পাওয়া শামীম হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এসএম শামীম আহমেদ এই সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল রোববার বিকালে বগুড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে শামীমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, আদালতের সাবেক মুহুরি শামীম হোসেন বগুড়ার কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়নের মাধববাঁকা গ্রামের মৃত করমতুল্লাহর ছেলে। তিনি সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়ার মেয়ে ফেনসি খাতুনকে বিয়ে করেন। ফেনসি খাতুন বাবার মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মৎস্য অফিসে অফিস সহায়ক পদে চাকরি পান। তিনি বর্তমানে দুপচাঁচিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসে কর্মরত। বিয়ের পর মাধ্যমিক পাস মুহুরি শামীম হোসেন সরকারি চাকরির আশায় শ্বশুর সোনা মিয়াকে ‘বাবা’ বানানোর উদ্যোগ নেন।
তিনি শ্বশুরপক্ষের সহযোগিতায় শিক্ষা সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা মৃত করমতুল্লাহর স্থলে শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়ার নাম বসান। এমনকি পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টও নিজের অনুকূলে নেন। এরপর মুহুরির পেশা ছেড়ে সোনা মিয়ার ছেলে সেজে ২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে অফিস সহায়কের চাকরি নেন। এরপর দুপচাঁচিয়া উপজেলা কার্যালয়ে তার পোস্টিং হয়। দুপচাঁচিয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী সাকিউল ইসলাম জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী সার্কেল থেকে অফিস সহায়ক শামীম হোসেনের সকল কাগজপত্র চাওয়া হয়েছিল।
মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়ার ওয়ারিশান সনদে শরিক হিসেবে তার নাম না থাকায় অভিযোগের সত্যতা মেলে। এর প্রেক্ষিতে রাজশাহী সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ১০ নভেম্বর স্বাক্ষরিত পত্রে শামীম হোসেনকে অফিস সহায়ক পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এর আগে অফিস সহায়ক শামীম হোসেন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলেও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।