রবিবার

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

পাঠ্যবই সংকটে চারঘাটের কারিগরির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : দীর্ঘ দেড় বছর পর সারাদেশের মত রাজশাহীর চারঘাটেও সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় সকল মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা আনন্দিত হলেও এইচএসসির কারিগরি শাখার পরীক্ষার্থীরা বই সংকটের কারনে চরম বেকায়দায় পড়েছে। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বই কিনেনি। এখন কলেজ খুলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষার ঘোষণা দেওয়ায় বইয়ের দোকানগুলোতে পাঠ্যবই খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চারঘাটে ৯টি কারিগরি কলেজে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ মিলে ৬৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। কারিগরি শাখায় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে দুবার বোর্ড পরীক্ষা হয়। সব শেষে দুটি পরীক্ষার ফল সমন্বয় করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়। এই দুই বর্ষে শিক্ষার্থীদের ১০টি করে মোট ২০টি পাঠ্যবইয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হয়।

করোনার কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষার আভাস থাকায় কোন কোন বইয়ের ওপর পরীক্ষা হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য তাঁরা বছরের শুরুতে কলেজ বন্ধের মধ্যে কোনো বই কেনেননি। এদিকে বছরের শুরুতে লাইব্রেরি গুলো কারিগরি শাখার বই দোকানে নিয়ে আসে। কিন্তু সে সময় বই বিক্রি না হওয়ায় পরবর্তীতে তারা বই প্রকাশনী গুলোর কাছে ফেরত পাঠিয়েছে।

চারঘাট টেকনিক্যাল বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আবদুল্লাহ বলেন, করোনায় বন্ধ থাকার পর মাত্র কদিন হলো কলেজ খুলেছে। প্রায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে কলেজ বন্ধ থাকায় বই কেনা হয়নি। কলেজ খুলবে কি খুলবে না, পরীক্ষা হবে কি হবে না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম। এখন বছর শেষের দিকে হওয়ার কারণে লাইব্রেরিগুলোতে বই পাওয়া যাচ্ছে না। বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, ডিসেম্বরের আগেই শেষ করতে হবে সিলেবাসের পড়ালেখা। সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হলেও পরীক্ষা কাছে চলে আসায় বইয়ের দোকানগুলোতে বই না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কারিগরি শাখার এসব পরীক্ষার্থীরা।

চারঘাট উপজেলা পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান বলেন, শিক্ষাবর্ষের শেষ সময় হওয়ায় বই পাওয়া যাচ্ছে না। বছরের প্রথম দিকে বইয়ের দোকানগুলো কিছু বই নিয়ে এসেছিল। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার কারণে কয়েক মাস আগে বইগুলো প্রকাশনীর কাছে ফেরত পাঠানো হয়। নয়তো লাইব্রেরী গুলো আর্থিক ভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হতো। বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন বলেন, ‘বাই কিনতে না পারায় কারিগরির কারিগরি শাখায় এই সংকট প্রকট। কারণ, কারিগরির শিক্ষার্থীদের দুই বর্ষের জন্য দুবার বোর্ড পরীক্ষা দিতে হয়।

এ জন্য তাঁদের বইও বেশি কিনতে হয়। এ ছাড়া সাধারণ শাখাও এই সমস্যা রয়েছে। পাঠ্যবই না থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়া দিয়ে তা আদায় করা যাচ্ছে না।’ মেরামাতপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ নাজমুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে বই নিয়ে আসতে পারছেন না। বিষয়টি শিক্ষকেরা আমাদের জানিয়েছেন। লাইব্রেরীতেও বই কিনতে পাচ্ছেনা। এ অবস্থায় অনেকেই শুধু খাতা কলম নিয়ে ক্লাস করছে।

বাংলাদেশ ভোকেশনাল শিক্ষক সমিতি চারঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান নয়ন বলেন, কারিগরির শিক্ষার্থীদের দুই বর্ষের জন্য দুবার বোর্ড পরীক্ষা দিতে হয়। এ জন্য তাঁদের বইও বেশি কিনতে হয়। করোনার কারণেই বইয়ের এ সংকট তৈরি হয়েছে। লাইব্রেরী ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা এমন দ্বিধা দ্বন্দ্বে ছিল।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris