সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

‘ইউনিফর্ম’র দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ অভিভাবকদের

Paris
Update : শনিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আর প্রাদুর্ভাবের কারনে দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ থাকার পর সরকারের সিন্ধান্তানুযায়ী আগামীকাল রবিবার খোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মান্য সাপেক্ষে সরকারের দেওয়া অন্যান্য নির্দেশনা পালন সাপেক্ষে স্কুলগুলোতে সীমিত পরিমানে ক্লাস নেবেন শিক্ষকরা। এদিকে, স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবার পর থেকেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন দোকানে স্কুলের ইউনিফর্ম বা পোশাক কেনার তোড়জোড় বেড়েছে। আর সেই তোড়জোড়কে ঢাল করে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি দামও বাড়িয়েছে রেডিমেট প্যান্ট, শার্ট, টাই, জুতা ও ব্যাগের মূল্য।

গেল বছরের চাইতে প্রতিটি প্যান্ট ও শার্টের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে একশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত বলে জানান অভিভাবকেরা। একদিকে, স্কুলের বকেয়া থাকা বেতন, তো অন্যদিকে বেশি দামে স্কুলের নতুন ইউনিফর্ম কেনার চাঁপে নাজেহাল মধ্যবিত্ত ও গরিব পরিবারের মানুষদের। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে একটু সুনজর দেবার দাবি জানায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে সত্যতাও পাওয়া গেছে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টির। নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, খাঁচা মার্কেট ও চাদনিচক সুপার মার্কেটে অবস্থিত স্কুলের ইউনিফর্মের দোকানে গিয়ে দেখাগেছ উঁপচে পড়া ভীড়।

ড্রেসের দাম বেশি নেওয়াতে অনেক ক্রেতাই তড়কে জড়িয়ে পড়েছেন বিক্রেতার সাথে। কেউ কেউ আবার টাকা সঙ্কুলান না হওয়াতে ফিরেও গেছে পরিপূর্ণ ইউনিফর্ম না কিনে। কম্পিল্ট ইউনিফর্মের চাহিদা থাকলেও মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে কেউ শুধু কিনেছেন একটি শার্ট ও টাই কিংবা একটি প্যান্ট। কেউবা শুধুই কিনেছেন জুতা কিংবা ব্যাগ। স্মৃতি রাণী নামের একজন ক্রেতা তার সপ্তম শ্রেণী পড়ুয়া সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন প্যান্ট শার্ট ও জুতার কেনার জন্য। কিন্তু হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়াই তিনি শুধু একটি শার্ট ও ব্যাগ কিনে বাড়ি ফিরে যান। ক্রেতা রহমান তার পঞ্চম শ্রেণির ছেলের জন্য এসেছিলেন প্যান্ট শার্ট ও ব্যাগ কিনতে। কিন্তু তিনিও দাম বৃদ্ধির কারণে শুধু একটি ব্যাগ ও শার্ট কেনেন।

গেলবারে ছোট বাচ্চাদের যে প্যান্টের দাম ছিল ২৫০ টাকা, সেটি এবার দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। দুইশ টাকার শার্টের দাম বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫০ টাকায়। অস্টম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীর প্যান্টের দাম গেলবার বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ তিনশ টাকায়। সেটি এবার বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ টাকায়। অন্যদিকে, গেলবার ছোটদের টাই বিক্রি হয়েছে পঞ্চাশ থেকে সত্তর টাকায়। এবার সেটি একশ থেকে একশ পঞ্চাশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকি, জুতার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। স্কুলের সাদা কেডস্ গেল বছরে বিক্রি হয়েছে চারশ থেকে ছয়শ টাকায়।

সেটি এখন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ছয়শ থেকে হাজার টাকায়। ব্যাগের মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে রকমভেদে প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। অভিভাবকেরা আরো অভিযোগ করে বলেন, বিক্রেতারা নতুন করে কোন পোষাক কারখানা থেকে সংগ্রহ করেননি। গেলবারের পুরাতন ইউনিফর্মগুলো আইরণ করে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এই অভিযোগেরও সত্যতা মেলে বেশকিছু দোকানে। বেশ কয়েকজন ক্রেতার হাতে সেলসম্যানরা ভুল করে তুলেদেন বাতিল ও নষ্ট হওয়া কিছু প্যান ও শার্ট। পরবর্তীতে সেগুলো ফেরতওদের ক্রেতারা। এদিকে, পুরতান ও গেলোবারের ড্রেস এবং দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন দাম বৃদ্ধি হয়নি।

তারা আরো বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবসা বন্ধ থাকায় তারা হিমশিম খেয়েছে সংসার চালাতে। ফয়সাল গার্মেন্টস এর ম্যানেজার আব্দুল মালেক জানান, দীর্ঘসময় ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় উক্ত তৈরি পোষাক কারখানা ও বিক্রয়কেন্দ্রের মালিক নাকি প্রায় দেউলিয়ার পথেই হয়েছেন ধাবিত। দোকান ও কারখানা বন্ধ থাকলেও তাদেরকে ভাড়া টানতে হয়েছে মাসের পর মাস ধরে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris