সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কেউ জানেন না অচিন এ গাছের নাম

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

সুমন আলী, নওগাঁ : গাছটির নাম নেই। কত বছর আগে এর জন্ম তাও জানেন না কেউ। সবাই এ গাছকে অচিন গাছ বলেই জানেন। নওগাঁ শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে চকপ্রসাদ এলাকায় নওগাঁ-শৈলগাছী সড়কের পশ্চিম পাশে বিশাল আকৃতির এ গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই গাছটি দূর থেকে অনেকটা বট গাছের মত দেখতে হলেও পাতা বা ফলের কোন মিল নেই বট গাছের সাথে। স্থানীয়রা বলছেন, গাছটির বয়স প্রায় ৪০০ বছর। ৪ পুরুষ এ গাছের জন্ম বৃত্তান্ত সর্ম্পকে কিছুই বলতে পারেননি। গাছটির শাখা-প্রশাখা অনেক। বর্তমানে গাছটি প্রায় এক একর জমির আয়তন ঘিরে রয়েছে। গাছটিতে ফল ধরে এবং এসব ফল পশু-পাখি খায়।

এ গাছ থেকে ফল মাটিতে পড়লেও কোনো ফল থেকে নতুন গাছ জন্মায় না। এই বিষয়ে স্থানীয় ফিরোজ উদ্দিন ও আব্দুল মান্নানসহ কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের ৪ পুরুষ পর্যন্ত এ গাছটির বিষয়ে কোনো পরিচয় জানেন না। আমরা আমাদের বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনেছি অনেক বছর আগে বড় একটা বন্যা হয়। সেই বন্যার এই গাছটি ভেসে এসে এখানে আটকে যায়। তারপর থেকে নাকি এই গাছটি এখানে বড় হয়ে উঠেছে। কিন্ত এই গাছে নাম কেউ জানেন না। দেখতে অনেকটা বট গাছের মত হলেও এর পাতা বা ফলের কোন মিল নেই বট গাছের সাথে।

দূর থেকে বট গাছ মত লাগলেও কাছে গেলে বট গাছের সাথে এর কোন মিল খুজেঁ পাওয়া যায় না। তাই এই এলাকার মানুষ এই গাছটিকে অচিন গাছ নামে জানেন। নামহীন এই অচিন গাছটিকে ঘিরে আমাদের এলাকার মানুষের মাঝে অনেক কৌতুহল। এছাড়াও গাছটিকে ঘিরে প্রতিদিনই আশে পাশের এলাকা থেকে অনেক মানুষ দেখতে আসে। তারা আরও বলেন, গাছের পাতা বছরে একবার ঝরে পড়ে যাওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আবারও পাতা গজায়। এই গাছের ফল মাটিতে পড়লেও কোনো ফল থেকে নতুন গাছ জন্মায় না। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা এই গাছের গোড়ায় পূজা-পার্বণ করে থাকেন। এবং বছরে একবার এখানে বড় আকারে মেলা বসে ও ভরন খেলা হয়।

এবং অনেক মানুষের সমাগম হয়। গাছটিকে গ্রামীণ ঐতিহ্য হিসেবে সরকারিভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান তারা। হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ কুমারের কাছে পূজা করার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের পূর্ব-বংশধররা পূজা করেছিলেন। তাই আমরাও পূজা করে আসছি। প্রতি বছর আমরা এখানে কালিপূজা করে থাকি এবং বছরে একবার জাঁকজমকপূর্ণভাবে এখানে মেলা বসে এবং ভরন খেলা হয়। প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। তিনি বলেন, আমার বাপ-দাদার কাছ থেকে শুনেছি বড় একটি বন্যায় এই গাছটি এখানে ভেসে এসে বড় হয়।

তার পর থেকেই আমাদের পূর্ব-বংশধররা এখানে পূজা শুরু করেন। তাই আমরাও পূজা রে আসছি। গাছটির বিষয়ে কথা হয় স্থানীয় পরিবেশবীদ ও নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান এর সাথে, গাছটি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই গাছটি ওই এলাকার মানুষের কাছে একটি অচিন গাছ নামে পরিচিতি। এই গাছটির নাম কেউ বলতে পারে না। তাই এই গাছটি নিয়ে মানুষের মাঝ যে সন্দেহ আছে সেটি উদঘাটন হওয়া দরকার।

তিনি আরো বলেন, এই গাছটির সঠিক নাম জানতে গবেষনা করা দরকার। গবেষনা করার জন্য এই গাছের পাতা, ডাল বা ফল নিয়ে গিয়ে ব্যাপক গবেষনা করা জেতে পারে। যদি গবেষনা করা হয় এই এলাকার মানুষের দির্ঘদিনের ভ্রান্ত ধারনা দূর হবে। আর এই গাছের কোন নাম না জানাই ওই এলাকার মানুষ গাছটাকে দেবোতা সমতুল্য মনে করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষরা এই গাছের গোড়ায় পূজা অর্চণা করেন। তাই এই অচিন গাছেন একটি নামকরণ হওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris