সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

রাজশাহীতে গ্রামের চেয়ে শহরে টিকা নেয়ার হার প্রায় ৬ গুণ বেশি

Paris
Update : রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর ৯টি উপজেলার মাত্র ১৩ ভাগ মানুষ করোনার এক ডোজ হলেও টিকা নিয়েছেন। তবে রাজশাহী মহানগরীতে এই হার ৬৯ শতাংশ। স্বাস্থ্যবিভাগ এবং জেলা পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য বিশ্লেষণ করে টিকা গ্রহণের চিত্রতে দেখা গেছে রাজশাহীতে গ্রামের চেয়ে শহরের টিকা নেওয়ার হার প্রায় ছয়গুণেরও বেশি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিসংখ্যান অফিস বলছে, সবশেষ ২০২০ সালের মার্চ মাসের এক হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহী জেলা ও মহানগরে মোট জনসংখ্যা ৩০ লাখ ২৩ হাজার ২১৬। এরমধ্যে রাজশাহী মহানগরীতে বসবাস করছেন ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৫৭। বাকি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৫৯ জন ৯ উপজেলার গ্রামের মানুষ।

মোট জনসংখ্যার ৭৫ ভাগের বয়স ১৮ এর উপরে বলে ধরছে স্বাস্থ্যবিভাগ। তাদেরই টিকা পাওয়ার যোগ্য ধরা হচ্ছে। সে অনুযায়ী, শহরে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮১৭ এবং গ্রামে ১৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৯৪ জন টিকা পাওয়ার যোগ্য। এর মধ্যে ৯ উপজেলায় অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ১৪ জন। আর শহরে অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৫ জন। এ হিসাবে শহরের ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ মানুষ অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর গ্রামে এই হার ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শহরের ১৮ বছরের ঊর্দ্ধের মোট জনসংখ্যার ২৩ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ করোনার দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন।

আর প্রথম ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে ৩৪ দশমিক ০৭ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহীর ৯ উপজেলার গ্রামে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ২৯৩ জন। অর্থাৎ প্রথম ডোজ নেওয়ার পর গ্রামের ২৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন। আর ১৮ বছরের ঊর্দ্ধে টিকার যোগ্য বিবেচিত মানুষের মধ্যে মাত্র ৩ দশমিক ৪৪ জন দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফএএম আঞ্জুমান আরা শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বলেন, টিকা কার্যক্রমের একেবারে শুরুতে শহরেও টিকা নিতে মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিলো। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টিকা গ্রহণকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আর এর কারণ হচ্ছে মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। তাই শহরে টিকা গ্রহণের হারও বেশি। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীতে মোট ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬শ’ ব্যক্তি টিকা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১ম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬২ এবং ২য় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৬৩৮ ব্যক্তি। এ বিষয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, প্রথমদিকে গ্রামের মানুষের টিকা নেওয়ার প্রবণতা কম ছিল।

তাই তারা পিছিয়ে পড়েছে। এছাড়াও গ্রামে টিকা নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করাতে সেভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি বললেই চলে। আর শহরে ব্যাপকভাবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার কারণে এখানে টিকা নেওয়ার আগ্রহ অনেক বেশি দেখা গেছে। তিনি বলেন, গ্রামের খেটেখাওয়া মানুষ এখনও টিকার ব্যাপারে উদাসীন। টিকার জন্য অনলাইনে নাম নিবন্ধন করতে না পারাটাও তাদের পিছিয়ে থাকার কারণ। তারপরও সচেতন মানুষেরা টিকা নিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের টিকার কোন ঘাটতি নেই। সব মানুষকেই টিকার আওতায় আনা হবে। একটু সময় লাগলেও কেউ টিকা গ্রহণ থেকে বাদ থাকবেন না।’


আরোও অন্যান্য খবর
Paris