মোবারক হোসেন শিশির : প্রায় ৩৫ বছরের পুরাতন সেতু। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার আড়ইল গ্রামে কলমোচরা বিলের নির্মিত হয় ১৯৮৫ সালের দিকে। পাশ্ববর্তী পুঠিয়া উপজেলার কার্ত্তিকপাড়া গ্রাম। দুই উপজেলার দীর্ঘ পুরাতন জরাজীর্ণ সংযোগ সেতুর এক পাশের মাটি ভেঙে পড়েছে। এতে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যানকাহন চলাচলের ব্যাঘাত ঘটছে। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।
জানা যায়, রাজশাহীর-৫ দুর্গাপুর পুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানের গ্রামের বাড়ি যেতে হয় কলমোচরা বিলের ওপর নির্মিত সেতুটি দিয়েই। ১৯৮৫ সালের দিকে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এটি নির্মাণ করেন। প্রায় ৫০ ফুট দৈঘ্য ও ১০ ফুট প্রসস্ত সেতুটি। তবে কত টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল তা জানা যায় নি। সেতুটি নির্মাণ হয় প্রায় ৩৫ বছর আগে। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা খুবই নাজুক। সেতুটির একপাশের মাটি ধসে পড়েছে। প্রায় ঘটছে ছোটখাটো দূর্ঘটনা। বৃষ্টিতে সেতুটির দুই ধারের মাটি দেবে যাবার আশংকা রয়েছে। প্রতিদিনই দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করছে পথচারীরা। এ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সম্প্রতি সেতুটি পরিদর্শনে আসেন। পরে যান চলাচলে সেতুটি সংস্কারের নিদের্শ দিলে মাটি দিয়ে ভরাট দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দুই উপজেলার শতশত লোক যাতায়াতের জন্য এ সেতুটি ব্যবহার করে থাকেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মনুসর রহমানও প্রতিমাসে এই সেতুর ওপর দিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসেন। বর্তমানে সেতু দিয়ে যানচলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিন দশকের পুরাতন সেতু এটি। পুরাতন হলেও সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয় নি কেউ। কিছুদিন আগে সেতুটির একপাশের মাটি ধসে পড়ে। কয়েক দিন সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে এমপির নিদের্শে মাটি দিয়ে সংস্কার করা হয়। এখন বর্ষাকাল আবারও মাটি ধসে পড়ছে। ফলে পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ভাঙা অংশে প্রায় ছোটখাটো দূর্ঘটনা। একাধিকবার মাটি ভরাট করলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম ও বৃষ্টিপাতে সেতুটির উভয় পাশের মাটি ধসে পড়ার শংকা রয়েছে।
আড়ইল গ্রামের রাকিবুল ইসলাম বলেন, সেতুটি বহুকালের পুরাতন। বর্তমানে খুবই জ্বরাজ্বীর্ণ অবস্থা। এই সেতু দিয়ে দুই উপজেলার লোকজন যাতায়াত করে। সেতুর সড়কে মাটি ধসে প্রতিনিয়ত যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কিছু দিন পূর্বে মাটি দিয়ে সংস্কার করা হলেও আবার ধবে পড়ছে। এলাকাবাসী দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
উপজেলা প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, ১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে সেতুটি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সেতুটি নির্মাণ করে ছিল। অত্যন্ত পুরাতন সেতুটি বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থা। সম্প্রতি এমপি পরিদর্শণ করে সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তারপর সেখানে মাটি দিয়ে বেধে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আড়ইল কলমোচরা বিলে নতুন নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। জায়গাও পরিদর্শণ শেষ হয়েছে। এমপি স্যারের সহযোগিতায় হয়তোবা আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে। রাজশাহী-৫ দুর্গাপুর পুুঠিয়া আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান বলেন, উপজেলা ৫টি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সেগুলো পাসও হয়েছে। তার মধ্যে আড়ইল কলমোচরা বিলের সেতুটি আছে। আগামী বছরেই ওখানে নতুন করে সেতু নির্মানের কাজ শুরু হবে।