বুধবার

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

অপরিকল্পিত ‘উন্নয়ন’র মাসুল দিচ্ছেন চারঘাট পৌরসভাবাসী

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : মুখ থুবড়ে পড়েছে চারঘাট পৌরসভার শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ। সমন্বয়হীনতার কারণে তুলে ফেলতে হচ্ছে পানির পাইপলাইন, ভাঙা পড়ছে ফুটপাত ও ড্রেন।পৌর সেবা বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী, রাজস্ব হারাচ্ছে পৌর কতৃপক্ষ। চারঘাট পৌরসভার সচিব রবিউল ইসলাম জানান, পৌরবাসীর সার্বিক সুযোগ সুবিধা এবং অবকাঠমোর উন্নয়নে প্রায় ১৫২ কোটি টাকার কাজের প্রস্তবনা আছে। ইউজিআইআইপি-৩ প্রকল্পের আওতায় ২য় ধাপের ১৭ কোটি টাকার কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। এই কাজ শেষ হবার কথা ছিল ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে। কিন্তু একাধিকবার সময় বর্ধিত করেও এখন পর্যন্ত এ কাজ শেষ করতে না পারায় ফেরত গেছে ৩য় ধাপের ১৮ কোটি টাকা।

এদিকে বানেশ্বর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত অঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজে তুলে ফেলতে হচ্ছে পৌরসভার নতুন স্থাপনকৃত পানির পাইপ লাইন, ভাঙা হচ্ছে ফুটপাত ও ড্রেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নীতকরণে ৫৫৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত হবে জানার পরেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে সমন্বয় ছাড়া অপরিকল্পিত ভাবে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে চারঘাট পৌরসভা।

পৌরসভা প্রকৌশল সূত্রে জানা যায়, নগর প্রশাসনের বাস্তবায়ন অবকাঠামো প্রকল্প ইউজিআইআইপি-৩ এর আওতায় ২৫ হাজার ৫শত মিটার দীর্ঘ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পাইপ লাইনের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। এ কাজে বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। সড়ক প্রশস্ত হবে জেনেও অপরিকল্পিত ভাবে পাইপ বসানো হয়। এর ফলে ৬ মাস না যেতেই তুলে ফেলতে হচ্ছে পানি সরবারহের পাইপ। ভেঙে পড়েছে পানি সরবারহ ব্যবস্থা। এদিকে ফুটপাত ও ড্রেনেরও একই অবস্থা। পৌরসভা কতৃপক্ষ সড়ক বিভাগের সাথে সমন্বয় ছাড়া নিজেদের খেয়াল খুশিমত আঁকা বাঁকা করে নির্মাণ করে ড্রেন ও ফুটপাত। প্রায় ১৭ কিলোমিটার রাস্তা ও সাড়ে ৫ কিলোমিটার ড্রেন বাস্তবায়নে বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা।

এখন সড়ক বিভাগের অঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হওয়ায় ভাঙা পড়ছে ফুটপাত ও ড্রেনের অনেকটা অংশ। রাজশাহী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সামসুজ্জোহা জানান, বার বার বলার পরেও কাজ বাস্তবায়নে পৌর কতৃপক্ষ আমাদের সাথে কোনো প্রকার সমন্বয় করেনি। রাস্তা কতটুকু প্রশস্ত হবে তার সার্ভেয়ার রিপোর্ট তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে তারপরও কর্ণপাত করেনি। ড্রেন ও ফুটপাতের অনেকটা অংশ ভাঙা পড়বে। পানির পাইপ লাইনও তুলে ফেলা হচ্ছে। প্রথমে সমন্বয় করলে আজকে তারা এতটা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতোনা। স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম বাদশা জানান, পৌরসভার ড্রেন ও পানির পাইপ লাইন স্থাপনের শুরু থেকে আমরা বলছি এটা অপরিকল্পিত কাজ হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা মানববন্ধন থেকে শুরু করে সভা সেমিনার করেছি।

তবুও পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার যোগসাজশে অপরিকল্পিত ভাবে এ কাজ বাস্তাবায়ন করা হয়েছে। এখন এ কাজের মাসুল দিচ্ছে পৌরসভা। সরকারের গচ্চা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক বলেন, পূর্বের মেয়রের অপরিকল্পিত কাজের দূর্ভোগ আমাদেরও পোহাতে হচ্ছে। পানির পাইপ তুলে ফেলা হয়েছে। তবে আমরা পৌরসভার নিজ খরচে কিছু কিছু জায়গায় পানির লাইন সচল চেষ্টা করছি। আর প্রকল্প বর্ধিত করে ৩য় ধাপের ১৮ কোটি টাকার বরাদ্দ নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। চারঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র জাকিরুল ইসলাম বলেন, পৌর প্রকৌশলী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করেই উন্নয়ন কাজ বাস্তাবায়ন করা হয়েছে। অপরিকল্পিত কোনো কাজ করা হয়নি। এ দায়ভার শুধু আমার না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris