মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারায় ‘মা ডেন্টাল কেয়ার’র ডেন্টিষ্ট মাসুদ রানার বিরুদ্ধে এক নারী রোগী থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন। উপজেলার মাদারীগঞ্জ বাজারের কয়েক বছর থেকে মা ডেন্টাল কেয়ারের ডেন্টিষ্ট মাসুদ রানা নারীসহ বিভিন্ন রোগীর দাঁতের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। তার বাড়ি উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের চাপড়া মোহাম্মদপুর গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডেন্টিষ্ট মাসুদ রানা এলাকার ওই নারী রোগীর চিকিৎসা প্রদান শেষে ভবিষ্যতের জন্য ফোন নম্বর নেন। সেই ফোন নম্বরে ফোন করে প্রায়ই কথা বলার চেষ্টা করেন। বিবাহিত নারী হওয়ার কারনে বিষয়টি তার স্বামীর সাথে শেয়ার করেন। ফোন দিতে নিষেধ করা হলেও শুনেননি মাসুদ রানা। এভাবেই প্রায় বছর খানেক সময় পার হয়ে যায়। কথা বলার সূত্রে ধরে ওই নারী রোগীর বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ডেন্টিষ্ট হয়েও মাসুদ রানা রাতে কেন রোগীর বাড়িতে এমন ঘটনায় একদিন হাতেনাতে ধরে ওই নারীর স্বামী।
পরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। ওই ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে মাসুদ রানাকে জরিমানাও দিতে হয়েছে। এমন কর্মমান্ডে দিন দিন আস্থা ও বিশ্বাস হারাচ্ছেন রোগীরা। তারপরও মাসুদ রানা ওই নারীর মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে। ওই ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি ওই নারী ও তার এক বোন হঠাৎ হাজির হয় মাসুদ রানার চেম্বারে। সেখানে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এরপর গত ২২ আগস্ট হাটবার হাট চলাকালে মাসুদ রানাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা হরেন ওই নারীসহ তার বোন। তাদের অভিযোগ চিকিৎসার নামে কেন অশ্লীলতা।
তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সেই সাথে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাবারও হুমকী প্রদান করেন ডেন্টিষ্ট মাসুদ রানা। রোগীর সাথে এমন আচরণের ফলে এলাকার মানুষের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি নারী রোগীর সাথে মাঝে মধ্যে মাসুদ রানা অসামাজিক আচারণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে অভিযুক্ত মা ডেন্টাল কেয়ারের ডেন্টিষ্ট মাসুদ রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা ভালো না এলাকায় আমার ব্যবসায়ীক সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এমনকি এর আগেও অভিযোগকারী আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে তার বাড়িতে ডেকে মানহানীমূলক কাজ করেছেন। ওই রোগীর সাথে অন্য কোন সম্পর্ক নেই বলেও জানান মাসুদ রানা।
এ ঘটনায় বাগমারা থানায় দাখিলকৃত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমিরুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযোগ সম্পর্কে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ডেন্টিষ্টের বিরুদ্ধে এক নারী রোগীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের পর সেটার তদন্ত করতে এক অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। উভয় পক্ষের নিকট থেকে বিস্তারিত শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।