বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

ইরাকের পরিণতিও হতে পারে আফগানিস্তানের মতো?

Paris
Update : বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : সব অনুমান আর ভবিষ্যতবাণীকে মিথ্যে প্রমাণ করে অবিশ্বাস্য দ্রুত পতন ঘটলো কাবুলের। আফিগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশ এখন তালেবানের দখলে। এ অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইরাক থেকে মার্কিন সেনারা চলে গেলে, পরিণতি হতে পারে আফগানিস্তানের মতই। গেল বছর ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের হামলার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সেনাদের সরিয়ে নেয়া হবে। এখন দেশটিতে সামরিক উপদেষ্টা, কৌশলগত সহায়তাকারীসহ প্রায় ৩ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। তবে বাইডেনের নতুন প্রশাসন এসে বলছে, ইরাককে সহায়তায় দেশটিতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকবে।

এরপরও, মনে করা হচ্ছে আফগানিস্তানের পর ইরাক থেকেও নিজেদের গুটিয়ে নিতে পারে মার্কিনিরা। তালেবানের হাতে আফগান সরকারের পতনের পর তাই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, মার্কিন সেনারা চলে গেলে ইরাকও কি কোন উগ্র গোষ্ঠীর হাতে পড়তে যাচ্ছে? এই শঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশের মতোই ইরাকের দুর্বল সরকার ব্যবস্থা, প্রবল দুর্নীতিগ্রস্ত সামরিক বাহিনী আর সাথে যোগ হয়েছে বিভাজনের রাজনীতি। তাই তালেবানের অভিযানের মুখে যেভাবে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী, একইভাবে আইএস কিংবা অন্য কোন সশস্ত্র সংগঠনের হামলায় ধসে যেতে পারে ইরাকি বাহিনীর প্রতিরোধও।

কয়েক বছর আগে, জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের হামলায় একরকম অস্ত্রশস্ত্র রেখেই পালিয়ে যায় ইরাকি সেনারা। বিনা বাধায় সিরিয়া সীমান্তবর্তী তিনটি বড় প্রদেশ দখল করে নেয় আইএস। ২০১১ সালে মার্কিন বাহিনীর ইরাক ছেড়ে যায়। কিন্তু ২০১৪ সালে আইএসের উত্থানের পর আবারও ফিরে আসতে হয়। ৫ বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে আইএসকে হারাতে সক্ষম হয় পশ্চিমা সহায়তাপুষ্ট ইরাকি যৌথ বাহিনী। সামরিকভাবে হেরে গেলেও, বাস্তবে সামাজিকভাবে ইসলামিক স্টেটের প্রভাব কতটা কমেছে তা বলা মুশকিল। এ অবস্থায় সাধারণ ইরাকিরা বলছেন, আফগান পরিস্থিতি শঙ্কা তৈরি করেছে তাদের মনেও। মসুলের বাসিন্দা খালিদ আল রাওয়ি বলেন,’আফগানিস্তানের জনগণের জন্য সত্যিই দুঃখ হয়।

এ ধরনের পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমরাও গেছি। আফগান পরিস্থিতি আমাদের এটাই বলে, কোথাও নিরাপদ নই আমরা। জঙ্গিরা যেকোন সময় ফিরে আসতে পারে।’ ইরাকে আইএএস ছাড়াও আছে ইরান সমর্থিত বেশ কয়েকটি মিলিশিয়া বাহিনী। তীব্র মার্কিন বিরোধী মনোভাবের এই বাহিনীগুলো, ক্ষমতা দখলের সুযোগ নেবে না, সেটি বলা মুশকিল। এমনকি দেখা দিতে পারে গৃহযুদ্ধও। ইরাকি এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বললেন, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থান, নিঃসন্দেহে ইরাকে সন্ত্রাসীদের মদদ যোগাবে। ইরাকি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইহসান শামারি জানান,’তালেবান ও আইএসের মধ্যে যদিও আদর্শিক পার্থক্য আছে। তবুও বলবো, তালেবানের বিজয় হয়তো আইএসকে উৎসাহিত করবে ইরাকে আবারো খেলাফত ঘোষণা করতে।’

তবে মার্কিন সেনারা চলে গেলে ইরাকের পরিণতি আফগানিস্তানের নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম কারণ, ইরাকি মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা। আফগানিস্তানে তালেবান যেরকম একক শক্তি, ইরাকে শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীগুলোর তেমন কোন জোট নেই। আরও বলা যায়, ইরাকের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আফগানিস্তানের চেয়ে শক্তিশালী। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকে সম্ভাব্য সংঘাতময় পরিস্থিতি ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার ইরাক নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবা। শুধু তাই নয়, বছরের পর বছর সেগুলো দখল করেও রাখে। যেগুলো খুব সহজে ভেঙে পড়বে না। এর বাইরে আরও একটি কারণ, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামোগত বেশ কিছু উন্নয়ন করেছে, যে কারণে কোন গোষ্ঠীই হয়তো খুব বেশি স্থানীয় সমর্থন পাবে না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris