সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পুঠিয়ার আওরিয়া এখন অসহায়

Paris
Update : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১

আরিফ সাদাত, পুঠিয়া : বাবার মারা যাবার পর সংসারের দ্বায়িত্ব এসে পড়ে একমাত্র ছেলে আওরিয়ার উপর। পরিবারের ৫ সদস্যের খাবার যোগান দিতে ঠিকাদারের মাধ্যমে শুরু করেন পল্লী বিদ্যুতের লাইনম্যানের কাজ। দীর্ঘ কয়েক বছর কাজ করে বিয়ে দেন বড় দুই বোনের। গত তিন বছর আগে তিনিও বিয়ে করেন। এখন উপযুক্ত ছেলের সাথে ছোট বোনের বিয়ে দিতে পারলেই মাথার বোঝা হালকা হবে তার। এরপর মা ও স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে সংসার গড়বেন আওরিয়া আলী। এমন স্বপ্ন ছিল তার দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিধি বাম। বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করার সময় প্রায় ৬ মাস আগে দুর্ঘটনার শিকার হন আওরিয়া। এরপর অর্থাভাবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করাতে না পেরে অবশেষে তার ক্ষত একটি পা কাটাতে হয়েছে। এরপর থেকে তার পরিবারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। আওরিয়া আলী (২৫) রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলার কান্দ্রা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগি আওরিয়া আলী বলেন, গত কয়েক বছর যাবত নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধিনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজ করে আসছিলাম। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী পুঠিয়া উপজেলার বানেস্বর এলাকায় লাইন নির্মাণ কাজ করার সময় দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। এতে অর্থাভাবে সঠিক সময় চিকিৎসা করাতে না পেরে অবশেষে বাম পা পুরোই কাটাতে হয়। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিধি মোতাবেক লাইনে কাজ করা অবস্থায় ঠিকাদারের কোনো শ্রমিক পঙ্গু হলে তার সকল চিকিৎসা ব্যবস্থা করা এবং ওই পরিবারকে ৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার নিয়ম রয়েছে।

আর মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেয়ার বিধান রয়েছে। অথচ আমার দুর্ঘটনার পর অর্থ সহায়তা তো দুরের কথা চিকিৎসা খরচও দেননি পল্লী বিদ্যুত অফিস এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাড়িতে যা সস্বল ছিল তা বিক্রি করেও চিকিৎসার খরচই হচ্ছে না। তার উপর সংসারে মা, বোন, স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের খরচাপাতি কোথা থেকে আসবে সেটা ভাবলে মনে খুবই কস্ট লাগে। নিয়ম অনুসারে আমার পাপ্য অনুদানের জন্য ঠিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কতবার গেলাম কিন্তু তারা আমাকে পাত্তাই দেন না। সময়মত সঠিক চিকিৎসা করাতে পারিনি। যার কারণে তার বাম পা পুরো কাটা পড়েছে। অথচ ওই ঠিকাদার বা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কোনো খোঁজ খবর করেনি।

এখন ঘরে একটা বিবাহযোগ্য বোন, মা ও আমার স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম অর্থ সংকটে পড়েছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতু ইন্জিনিয়ারিং এর কর্ণধার মেরাজুল ইসলাম বলেন, আমার অধিনে যে কাজ গুলো হচ্ছে তা এখনো শেষ হয়নি। যার কারণে ওই কাজের কোনো বিল পাইনি। অফিস থেকে বিল পেলে ক্ষতিগ্রস্থ্য আওরিয়ার পরিবারকে কিছুটা সহায়তা করা হবে। এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, লাইন নির্মাণ কাজ করা অবস্থায় আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ওই ভুক্তভোগি পরিবার অফিসে আবেদন করেছেন। আমরা বিষয়টি অবগত আছি। আমরা বিধি মোতাবেক অচিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris