বৃহস্পতিবার

৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সোহেল পবায় ছাত্রলীগ নের্তৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদের মতবিনিময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন ময়না মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর লাল গামছা দেখে থামল ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা রাজশাহী নগরীতে প্রস্তাবিত কবরস্থান ও ঈদগাহ নির্মাণে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

ফেঁপে উঠা ভরা পদ্মায় বালির ব্যাগ ফেলছে রাজশাহী পউবো!

Paris
Update : রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : উজান থেকে বয়ে আসা পানির তোড়ে পদ্মার দুকূল যখন ফুঁসে উঠেছে, তখন ভেঁসে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকায় বালির ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে রাজশাহীর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র টি-গ্রোয়েনে। গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসব বালির ব্যাগ ফেলা শুরু করে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে জনগণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পাউবো কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে গ্রোয়েনে প্রবেশের সব পথ। এরপর সেখানে জিও বালির ব্যাগ ফেলতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, কর্তৃপক্ষ শুষ্ক মৌসুমে আলসেমি করে। পরে, বর্ষায় পানি বাড়ার পর তারা ভাঙনরোধে বালির ব্যাগ ফেলা শুরু করে।

এটা একপ্রকারের অর্থহীন কাজ। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘এ সময় ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন মিলে অল্প কিছু বালির ব্যাগ ফেলে দেখায় যে প্রচুর ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। এতে দুর্নীতি করা সহজ হয়।’ তবে স্থানীয়দের এই অভিযোগ অস্বীকার করেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ সত্য নয়। আমরা শুষ্ক মৌসুমেও কাজ করেছি। গত জুন থেকে কংক্রিট ব্লক ও বালির ব্যাগ ফেলা শুরু করেছি। যথাযথ মূল্যায়ন ও জরিপের পর আমরা এখন বালির বস্তা ফেলছি।

বর্তমানে নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে টি-গ্রোয়েন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে গ্রোয়েনে কমপক্ষে ১৬ হাজার বালির বস্তা ফেলার পরিকল্পনা ছিল। ইতোমধ্যে সেখানে প্রায় ১৪ হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এখানে অন্যায় বা দুর্নীতির করার কোন সুযোগ নেই। নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এখানে একটি টাস্কফোর্স আছে। টাস্কফোর্সে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিরা থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে বালির ব্যাগ গুনে গুনে নদীতে ফেলা হয়। প্রতিটি বালির ব্যাগে ৪৫০ টাকা খরচ হয় বলেও জানান তিনি।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টি-গ্রোয়েনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন সার্ভেয়ার ও কর্মরত শ্রমিকরা ছাড়া বালির ব্যাগ গুনতে অন্য কাউকে দেখা যায়নি। সেখানে মাত্র ২০ জন শ্রমিককে একটি নৌকায় করে বালির ব্যাগ ফেলতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা নদীর বাম তীর থেকে জিওটেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে নৌকায় বহন করে গ্রোয়েন পয়েন্টে নিয়ে ফেলছে। জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় টি-গ্রোয়েন। এরপর ৯০ এর দশকের শেষের দিকে এটা মেরামত করা হয়েছিল। পাউবো টি-গ্রোয়েন সংস্কারের প্রস্তাব দিলেও প্রকল্পটি এখনও অনুমোদিত হয়নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris