শামীম রেজা, মচমইল : রাজশাহীর বাগমারায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ ব্রীজঘাট। ভবানীগঞ্জ বাজারের সকল ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ওই ব্রীজঘাটে। বারনই নদীর উপরে একমাত্র এই ঘাটটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে ব্রীজঘাটের অনেক পাটাতন। এদিকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা এলাকা জুড়ে নেই তেমন কোন ময়লার ভাগাড় (ডাস্টবিন)। ডাস্টবিন না থাকায় খোলা স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা। হাটের ফেলা সেই ময়লা-আবর্জনায় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। ঘাটের উপরেই রয়েছে ব্রীজ। সেই ব্রীজ উপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে হাজারো মানুষ। ব্রীজের দুই পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা।
সেই ময়লা নদীর পানিতে মিশে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। সেই সাথে আশপাশের পরিবেশও হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্রীজঘাট ঘেঁষে নির্মাণ করা হয়েছে পাবলিক টয়লেট। যার ফলে সেখানে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে লোকজনের। ভবানীগঞ্জ ব্রীজ ঘাটের পাশেই প্রায় ৪০ বছর ধরে খড়ের ব্যবসা করে আসছেন ঝিকরা ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের মকছেদ আলী। মকছেদ আলীর ছেলে মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, ময়লার দুর্গদ্ধের কারনে ব্রীজঘাটের আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থা নেই। ব্যবসার কারনে থাকতে হলেও সেখান থেকে দূরে থাকতে হয়। আব্দুস সাত্তার, মেহের আলী সহ বেশ কয়েকজন বলেন, বর্তমানে ব্রীজঘাটের খুবই প্রয়োজন। বর্ষা মৌসম হওয়ার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাটে আসার পথে অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাদা লেগে যায়। হাটে নেই তেমন পানি সরবরাহের ব্যবস্থা। বাধ্য হয়ে লোকজন নদীর সেই বীজঘাটে যায়। বেশ কয়েক বছর থেকে ব্রীজঘাটের এমন বেহাল অবস্থা যেখানে দাঁড়িয়ে থাকারও সুযোগ নেই। এক সময় যে ঘাট দিয়ে মানুষ নেমে নদীতে গোসল করেছে। সেই ঘাট এখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সঠিক তত্ত্বাবধান না থাকার কারনে নির্বিঘ্নে লোকজন ময়লা ফেলছেন সেখানে। এছাড়াও বন-জঙ্গলে ভরে গেছে ঘাটের জায়গা। দ্রুত ঘাটের উপর এবং ধার থেকে ময়লার আবর্জনা অপসারণ করা না হলে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী লিটন মিঞা জানান, পৌরসভার পক্ষ থেকে ডাস্টবিনের কাজ হাতে নিয়েছি। সেখানেই বাজারের সকল ময়লা-আবর্জনা ফেলা হবে। এর ফলে বাজারের পরিবেশ ঠিক থাকবে। সেই সাথে যারা ময়লা ফেলে তাদেরকে অনেক বার নিষেধ করা হলেও তারা শুনেও না শোনার ভান করে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর পানি দূষণ সহ পরিবেশ নষ্ট করার কোন সুযোগ নেই। ব্রীজঘাট সহ ওই এলাকার পরিবেশ ঠিক করতে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডলের সাথে আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।