বুধবার

২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বগুড়া কারাগারের ছাদ ফুটো করে চার ফাঁসির আসামির পলায়ন, পরে আটক শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবন, আজ জন্মবার্ষিকী নাচোলে ইলামিত্র সংগ্রহশালা পরিদর্শনে ভারতীয় হাই কমিশনার আগামী এক বছরের মধ্যে রাজশাহী জেলা হবে শিশুশ্রম মুক্ত : প্রতিমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করে না : প্রধানমন্ত্রী দিল্লি সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী বাইডেন-ট্রাম্প মুখোমুখি বিতর্কে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস, গুরুত্ব পাবে মানসিক যোগ্যতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি, মুক্তি পেলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ নাটোরে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি নাটোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুরু

কদর বেড়েছে ছাতা কারিগরদের

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : পঞ্জিকার পাতা অনুযায়ী এখন বর্ষাকাল। চলছে রোদ আর বৃষ্টির খেলা। বর্ষকালে সবচেয়ে উপকারী বস্তটির নাম হলো ছাতা। বছরের পুরো সময়টা বসে থাকলেও এই সময়টায় ছাতা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। যদি এছর করোনা মহামারীর কারনে কাজের ব্যস্ততা কম।
রাজশাহীর চারঘাটে ছাতা তৈরির কারিগর রয়েছে প্রায় ডজন খানেক। এরা অন্যের দোকানের সামনে নামমাত্র ভাড়ায় বসে কাজ করেন এবং কাজ শেষে ঘরে ফিরে যান। এছাড়া কিছু ভ্রাম্যমাণ ছাতা কারিগররা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামত করে থাকেন।

এই ছাতা গ্রীষ্মেও যেমন দরকার তেমনি বর্ষাতেও এর প্রয়োজন। তবে মূলত বর্ষাকালেই ঘরে তুলে রাখা ছাতা মেরামত করতে নিয়ে আসেন ব্যবহারকারীরা। রোদেলা তাপ বা বৃষ্টির ধারা থেকে মুক্তির জন্য ছোট্ট এই বস্তর প্রয়োজনটা যে কত তা মৌসুমেই বলে দেয়। আগের আমলে কাঠের হাতলের ছাতা থাকলেও হাল আমলে ছাতার হাতল ও কাপড়ে বৈচিত্র এসেছে। ছোট্ট সাইজের ছাতা স্কুল ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ কিংবা প্যান্টের পকেটেও রাখা যায়। যত বৈচিত্রময় হোক ছাতা উল্টে গেলে, কাপড় ছিঁড়লে বা সেলাই খুলে গেলে ছাতা কারিগর ছাড়া কোনো উপায় নেই।

বর্ষা মৌসুমে যেহেতু ছাতার ব্যবহার বেড়ে যায়, তেমনি কারিগরদের কাজের রেটও বেড়ে যায়। চারঘাট সদরের ছাতা কারিগর সাইফুল ইসলাম জানান, করোনাকালে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। ফলে ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং, কামান প্রভৃতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। সরবারহও কম রয়েছে। এছাড়া সারা বছরই তাদের বসে থাকতে হয়, এই সময়টায় কিছু কাজ হয়। অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ ছাতা কারিগরদের অধিকাংশের বাড়ি ফরিদপুর, মাদারীপুর বা অন্য জেলায়।

এরা অন্য এসব এলাকায় এসে বাসা ভাড়া নিয়ে এসব কাজ করে থাকেন। বেশিরভাগ ছাতা কারিগররাই পৈত্রিক সূত্রে এ পেশায় জড়িয়েছেন এসব ছাতা কারিগররা প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকেন। এরা বৃষ্টিতে ভিজে কাজ করেন কিন্ত ব্যবহারকারীদের ভিজতে দেননা। ছাতার অসুখ-বিসুখ সারিয়ে সুস্থ করে তোলেন। আর বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়েই চালান তাদের সংসার।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris