সোমবার

৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেলে দেওয়া চুলেই যাদের জীবন-জীবিকা

Paris
Update : শনিবার, ৭ আগস্ট, ২০২১

মচমইল থেকে সংবাদদাতা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের মাদিলা গ্রামে পরচুলা ক্যাপ তৈরির কারখান গড়ে তুলেছেন আব্দুল জলিল নামে এক ব্যবসায়ী। সেখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন লিজা, রীমা, আয়শা, শাহিনা সহ অনেকে। তারা কোনদিন ভাবতেও পারেনি ফেলে দেওয়া চুলেই একদিন তাদের সংসার চলবে। তবে এই চুল এখন ফেলে দেওয়ার জিনিস নয়। বর্তমানে এলাকার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কেজি দরে এই চুল কিনে নিয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির হ্যান্ড মাইক ফেরিওয়ালা। আর এসব চুলেই এখন জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে উপজেলার প্রায় শতাধিক তরুণ-তরুণীর। তারা আর ঘরে বসে নেই ।

সপ্তাহে আয় করছে হাজার টাকার ওপর। আব্দুল জলিল ওই গ্রাম মোশারফ হোসেনের একটি ঘর ভাড়া নিয়ে গড়ে তুলেছেন এই কারখানা। সেখানে দিনভর প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণ-তরুণী কাজ করছেন। বাগমারায় এই পরচুলা তৈরির কারখানা একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এখানে স্কুল কলেজ পড়ুযা মেয়েরা কাজ করছে এবং একটি সম্মানজনক মজুরী পাচ্ছে। তিনি আরো জানান, এসব পরচুলা তৈরির কারখানা মূলত আগে কুষ্টিয়া মেহেরপুর, ঝিনাইদহ এলাকায় ছিল। বর্তমানে কমমূল্যের মজুরী ও চুলের জোগান পাওয়ায় বাগমারাতে এই কারখানা গড়ে ওঠেছে।

ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল জানান, তাদের কারখানায় তৈরি পরচুলা টুপি চীন, কোরিয়া, মায়ানমার সহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করা হয়। বাংলাদেশেও এসব পরচুলার চাহিদা রয়েছে। তবে বিদেশে বেশি দাম পাওয়া যায়। কারিগর আয়শা, লিজা ও রিমা জানান, এসব কাজ কারখানার উদ্যোক্তারা তাদের শিখিয়েছে। আগে একটি চুপি করতে দুই সপ্তাহ লাগত। এখন ৪-৫ দিনেই একটি চুপি তৈরি করতে পারেন তারা। প্রতি চার ইঞ্চি টুপির জন্য তারা পাঁচশ টাকা মজুরী পান। লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris