সোমবার

৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
বদলী করায় কারারক্ষীর রোষানলে উর্ধতন কর্মকর্তারা, হয়রানি-মিথ্যাচারের অভিযোগ তানোরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধে হামায় আহত ৫ আশংকাজনক ২ জন ইসলামী ব্যাংকের ৩৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় নাবিল গ্রুপের ১১ প্রতিষ্ঠানকে দুদকের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা কোটাবিরোধী আন্দোলনের ‘যৌক্তিকতা’ দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা রাস্তা না থাকাই দুর্ভোগে মুসাখাঁ আশ্রয় প্রকল্পের বসবাসকারীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রোবট কুকুর ও সেবেক্স ২ বিস্ফোরক আমাকে কেবল ঈশ্বর নির্বাচন থেকে সরে যেতে রাজি করাতে পারেন : বাইডেন ফের অপু-বুবলীকে নিয়ে যা বললেন শাকিব খান

মোহনগঞ্জহাটে সরকারী জায়গায় প্রভাবশালীর অবৈধ ঘর নির্মাণ

Paris
Update : বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি উপজেলা প্রশাসনসহ ভূমি কমিশনারকে অবহিত করলেও বন্ধ হয়নি এর নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এর আগেও মোহনগঞ্জ হাটে সরকারী দখল করে বিক্রয়ের মহোৎসব শুরু করেছেন রানা সরদার। তার বাড়ি গনিপুর ইউনিয়নের মোহনহঞ্জ গ্রামে।

হাটের নিকটে বাড়ি হওয়ার কারনে হাটের অনেক সরকারী জায়গা রয়েছে তার দখলে। সেই জায়গাগুলো দিনকে দিন বিক্রয় করে চলছেন। প্রশাসন জানলেও তার বিরুদ্ধে নেন না কোন ব্যবস্থা। বর্তমানে মোহনগঞ্জ পান হাটায় দখল করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করে চলেছেন তিনি। সরকারী খাস জমি যেন তাদেরই। দিনে দুপুরে ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের বসিয়ে রেখে নির্মাণ করছেন দোকান ঘর। কেউ কথা বলার সাহসও পান না তাদের সামনে।

সরকারী জমি দখল আর বিক্রয় এটাই যেন তার নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। সম্প্রতি মোহনগঞ্জ হাটে এরকমই একটি জায়গা দখল করে সাড়ে সাত লাখ টাকায় বিক্রয় করেছেন তিনি। মোহনগঞ্জ হাটে তাদের পরিবারের কব্জায় রয়েছে প্রায় কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি। এছাড়াও মোহনগঞ্জ হাটে কয়েকটি পরিবারের দখলে রয়েছে সরকারী অনেক জায়গা। এদিকে কর্তৃপক্ষ বার বার ওই হাটে জরিপ করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ করলেও তা আজো বাস্তবায়ন হয়নি। এতে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে পড়ে আছে।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান, প্রতিবছর মোহনগঞ্জ হাট থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব পেলেও নেই কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন। কয়েকটি পরিবারের নিকটে হাটের জায়গা দখলে থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ হাটুরিয়ারা। তারা কোন মালামাল হাটে এনে বিক্রয় করলে ইজারাদারদের খাজনার টাকা ছাড়াও তাদেরকে দিতে হয় টাকা।

রানা সরদার এর সাথে মুুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শুধু আমিই না আমার মতো অনেকেই হাটের সরকারী জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করে তা বিক্রয় করে চলেছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমি অসুস্থ হওয়ার কারনে আমার দখলে থাকা অপর একটি ঘর সাড়ে ৭ লাখ টাকায় বিক্রয় করেছি। বর্তমান জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দখলে থাকায় সেখানে ঘর নির্মাণ করছি। দখলদারদের কারনে সরকারী প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

গনিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমির) স্যারের নির্দেশে আমরা পর পর দুই বার ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ করতে নিষেধ করেছি। সরকারী খাস জমিতে কোন পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা যাবে না। এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারী জমিতে কেউ যেন অবৈধ ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট তহসিলদাকে পাঠানো হয়েছে। নিষেধ অমান্য করে সেখানে পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris