প্রেস বিজ্ঞপ্তি : “হ্যালো আসসালামু আলাইকুম। আমি পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সংস্থাপন শাখার ইন্সপেক্টর সালাম বলছি। আপনার নাম পার্বত্য জেলার জন্য নমিনেশন দেয়া হয়েছে। ঠেকাতে চাইলে যোগাযোগ করেন।” গত ১০ জুলাই এভাবেই রাজশাহী জেলার একজন পুলিশ সদস্যের কাছে ফোন আসে। ফোন পেয়ে উক্ত পুলিশ সদস্য রাজশাহী জেলা পুলিশের আরওআই নিরঞ্জন কুমারকে জানালে তিনি বিষয়টি রাজশাহীর পুলিশ সুপারকে জানান।
পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, বিপিএম (বার) রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সনাতন চক্রবর্তীকে বিষয়টি উদ্ঘাটনের নির্দেশনা দেন। পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় কাজ শুরু হয় এবং ২০ দিনের প্রচেষ্টায় প্রতারক মোঃ আল আমিন সরকার (৩৭), পিতাঃ মোঃ আপেল মাহমুদ সরকার, গ্রামঃ চাদপুর, ডাকঘরঃ বিরামপুর থানাঃ বিরামপুর, জেলাঃ দিনাজপুরকে গতকাল ৩০ জুলাই রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি টিম দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার সহযোগিতায় আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক আল আমিন তার প্রতারণার কথা স্বীকার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অগণিত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের কাছ থেকে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানায়। ২০১৫ সাল থেকে সে এ কাজের সাথে জড়িত বলে জানা যায়। তার প্রকাশ্য কোন জীবিকা নাই এবং প্রতারণার মাধ্যমেই চলে বলে জানায়। বিভিন্ন নামে নিবন্ধন করা বিকাশ এবং নগদের কয়েকটি সিম তার কাছে পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ও উক্ত প্রতারককে বিজ্ঞ আদালতে সোপার্দ করা হয়েছে।