সোমবার

৮ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে সই হতে পারে ২০ সমঝোতা কোটাবিরোধী আন্দোলনের ‘যৌক্তিকতা’ দেখছেন না প্রধানমন্ত্রী সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে রাসিক মেয়রের সাক্ষাৎ, স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা রাস্তা না থাকাই দুর্ভোগে মুসাখাঁ আশ্রয় প্রকল্পের বসবাসকারীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রোবট কুকুর ও সেবেক্স ২ বিস্ফোরক আমাকে কেবল ঈশ্বর নির্বাচন থেকে সরে যেতে রাজি করাতে পারেন : বাইডেন ফের অপু-বুবলীকে নিয়ে যা বললেন শাকিব খান জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর মোহনপুরে স্কুল সংস্কারে অনিয়ম, ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ এমপির শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন মন্ত্রী ফারুক খানের

ছাতা কারিগরদের ব্যস্ততা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই, ২০২১

আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোরে বর্ষা মৌসুমে ছাতা কারিগরদের ব্যবস্থা বেড়েছে। অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় ছাতার ব্যবহার বেড়ে যায়। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বৃষ্টির কারণে উপজেলার তানোর পৌর সদর, মুন্ডুমালাহাট, কালীগঞ্জহাট, বিল্লী হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে নষ্ট ছাতা মেরামত করতে লোকজনের ভিড় বেড়েছে। এসব হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে।

তাঁরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। অন্য ব্যবসায়ীরা বসে অলস সময় পার করলেও ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। ছাতা কারিগর আব্দুল সামাদ (৫৫) জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় জড়িত। বছরের ছয় মাস তিনি এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি দৈনিক ২০ থেকে ৩০টি ছাতা মেরামত করেন। দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করেন। তবে করোনার কারণে এবার একটু কাজ কম বলেও জানান তিনি।

ছাতা কারিগর বজলুর রহমান (৫০) বলেন, তিনি এই পেশায় ৩০-৩৫ বছর আছেন। বছরের এই সময়ে আয় বেশি হয়। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগারও কম হচ্ছে। বছরে ছয় মাস তিনি এই পেশায় থাকেন।

বাকি ছয় মাস পরের জমি বর্গাচাষ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। ছাতা মেরামত করতে আসা এন্তাজ আলী বলেন, তিনি একজন দিনমজুর, দিন এনে দিন খাই। করোনার কারণে বর্তমানে আয় কম। তার পক্ষে এখন নতুন ছাতা কেনা সম্ভব না। তাই ঘরে থাকা পুরোনো ছাতা মেরামত করার জন্য বাজারে নিয়ে এসেছেন।

আফরোজা বেগম বলেন, তিনি একজন গৃহিণী তার স্বামী পরের জমিতে কাজ করেন। তার দুই মেয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এখন বৃষ্টির সময়। তাই প্রাইভেট পড়তে গেলে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ছেলেমেয়েদের জন্য ঘরে থাকা দুইটা নষ্ট ছাতা মেরামত করতে বাজারে নিয়ে এসেছেন। কারন করোনার কারণে স্বামীর আয়-রোজগার প্রায় বন্ধ থাকায় নতুন ছাতা কিনতে পারছেন না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris