নুর কুতুবুল আলম, সাবাইহাট : রাজশাহীর বাগমারায় অবৈধ এবং অপরিকল্পিত পুকুর খননের ফলে জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে হাজারো কৃষক। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামাসহ বিভিন্ন মৌজায় জনদুর্ভোগের অন্তনাই। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্রিজ কালভার্টের মুখে বাঁধ দেয়ার কারণে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে বসতবড়ি, পানবরজ, শতশত একর ফসলি জমি, ধানক্ষেতসহ চলাচলের রাস্তা। এলাকার অর্ধ-শতাধিক নারী-পুরুষের স্বাক্ষরসহ প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষটি নিশ্চিত করেছেন। রামরামা গ্রামের ভুক্তভোগী আলাউদ্দীন সাহানা, আব্দুর রহিম, সাবিনা বিবিসহ বেশ কিছু বাসীন্দা জানান, আমরা প্রায় এক মাস থেকে পানিবন্ধী রযেছি। স্বাভাবিক চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। একটু বৃষ্টিপাতে বাহিরবাড়িতে পানি উঠে আসে । এলাকার তরুণ প্রজন্ম ঢাকার একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থায় কর্মরত হাবিবুল্লাহ মোহাম্মদ হিমেল বলেন, অনাকাঙ্খিত জলাবদ্ধতায় পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।
চেউখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বকুল খরাদি জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার, নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মদ, কৃষি অফিসার রাজিবুর রহমান, এলজিইডি প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মুঠোফোনে বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল কুমার সরকার জানান, সকল ব্রিজ, কালভার্টের মুখ খুলে দেয়া হবে।