আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহীর তানোরে বর্ষা মৌসুমে ছাতা কারিগরদের ব্যবস্থা বেড়েছে। অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় ছাতার ব্যবহার বেড়ে যায়। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বৃষ্টির কারণে উপজেলার তানোর পৌর সদর, মুন্ডুমালাহাট, কালীগঞ্জহাট, বিল্লী হাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে নষ্ট ছাতা মেরামত করতে লোকজনের ভিড় বেড়েছে। এসব হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছাতার কারিগরদের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে।
তাঁরা নাওয়া-খাওয়া ভুলে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। অন্য ব্যবসায়ীরা বসে অলস সময় পার করলেও ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। ছাতা কারিগর আব্দুল সামাদ (৫৫) জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় জড়িত। বছরের ছয় মাস তিনি এ পেশায় থাকেন আর বাকি মাসগুলো অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি দৈনিক ২০ থেকে ৩০টি ছাতা মেরামত করেন। দৈনিক ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় করেন। তবে করোনার কারণে এবার একটু কাজ কম বলেও জানান তিনি।
ছাতা কারিগর বজলুর রহমান (৫০) বলেন, তিনি এই পেশায় ৩০-৩৫ বছর আছেন। বছরের এই সময়ে আয় বেশি হয়। কিন্তু এখন করোনার কারণে মানুষ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। তাই এবার রোজগারও কম হচ্ছে। বছরে ছয় মাস তিনি এই পেশায় থাকেন।
বাকি ছয় মাস পরের জমি বর্গাচাষ করে জীবীকা নির্বাহ করেন। ছাতা মেরামত করতে আসা এন্তাজ আলী বলেন, তিনি একজন দিনমজুর, দিন এনে দিন খাই। করোনার কারণে বর্তমানে আয় কম। তার পক্ষে এখন নতুন ছাতা কেনা সম্ভব না। তাই ঘরে থাকা পুরোনো ছাতা মেরামত করার জন্য বাজারে নিয়ে এসেছেন।
আফরোজা বেগম বলেন, তিনি একজন গৃহিণী তার স্বামী পরের জমিতে কাজ করেন। তার দুই মেয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এখন বৃষ্টির সময়। তাই প্রাইভেট পড়তে গেলে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। ছেলেমেয়েদের জন্য ঘরে থাকা দুইটা নষ্ট ছাতা মেরামত করতে বাজারে নিয়ে এসেছেন। কারন করোনার কারণে স্বামীর আয়-রোজগার প্রায় বন্ধ থাকায় নতুন ছাতা কিনতে পারছেন না।