শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন হজ পালনের ধাপসমূহ

করোনায় কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রাজশাহীর ডেকোরেটর মালিক-কর্মচারি বিপাকে

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

আর কে রতন : সারা দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দফায় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্বস্তরের মানুষকে এই মহামারির কবল থেকে রক্ষায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে লোকসমাগম যে ঘটতে না পারে সেই জন্য সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ আরোপ করেন। ফলে গত কয়েক মাস থেকে বন্ধ রয়েছে সভা-সমাবেশ, বিয়ে, সুন্নাতেখাৎনা, ধর্মীয় ইসলামী জালসা, হরিবাসর কীত্তণসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ফলে অনেক দিন যাবৎ এসব অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় ডেকোরেটর ব্যবসার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের কারনে রাজশাহীতে শত শত মালিক-কর্মচারি চরম বিপাকে পড়েছেন।

জেলার তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়া বাজারের সজল সাউন্ড এন্ড ডেকোরেটরের মালিক সজল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে কয়েক মাস ধরে তার ডেকোরেটরের ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল বেকার পড়ে রয়েছে। কোন ভাড়া না থাকায় নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে ধার-দেনা করে দিনাতিপাত করছি। তার উপর আবার দোকান ঘর মালিকের ঘর ভাড়া পরিশোধের চাপ তো রয়েছেই। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিয়ে ধর্মসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ হওয়ায় তার ৬ জন কর্মচারীসহ সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন।

মোহনপুর উপজেলার ডেকোরেটর ব্যবসায়ি আবু বাক্কার বলেন, জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে আমি ডেকোরেটর ব্যবসা চালু করেছি। ব্যবসা ভালই চলছিল। সুখেই দিন কাটছিল। করোনাভাইরাস এসে অন্যসব ব্যবসা কম বেশি চললেও আমার ডেকোরেটর ব্যবসা একে বারেই বন্ধ রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমি সরকারি বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা বন্ধ রেখেছি। তিনি আরো বলেন, পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে সামনে ইদের আগে ও পরে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকার প্রোগ্রাম হতো। ডেকোরেটর ডিজাইন মিস্ত্রি শুভ বলেন, ডেকোরেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা এ পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকরা অত্যান্ত কষ্টের মাঝে দিনযাপন করছি। অনেকে ধার-দেনা সংসার চালাচ্ছি।

রাজশাহী জেলা ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিস্টেমের মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক এবং ফেন্স ডেকোরেটরের স্বত্তাধিকারি মাজহারুল ইসলাম বলেন, জেলায় ছোট-বড় প্রায় মহানগরীতে ১৫০সহ রাজশাহী জেলায় কয়েক শতাধিক ডেকোরেটর ও সাউন্ড সিস্টেমের দোকান রয়েছে এবং এ পেশায় অন্তত ৭-৮ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী এ পেশায় কাজ করে জীবিকা নির্ভর করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘ সময় এ মহামারি করোনার পরিস্থিতিতে সকল কাজ-কর্ম বন্ধ থাকায় সবাই বেকার হয়ে পড়েছে। এদিকে ডোকোরেটর মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্ঠা গোলাম সারওয়ার স্বপন বলেন, বর্তমানের এই ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, আর্থিক প্রণোদনা ছাড়া তারা কেউ ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবেনা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris