শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

যে কারনে বিপদে ইন্নালিল্লাহ পড়তে হয়

Paris
Update : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১

মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা : মানুষের জীবনে অনেক ধরনের বিপদাপদ আসে। জীবনের কিছুকিছু মুহূর্তে মানুষের ওপর ছোট-বড় নানা ঝড়-ঝাপটা আসে। সব ধরনের মুমিন আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রেখে বলে ওঠে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, বিপদে এই বাক্যটি কেন বলতে হয়? সেই প্রশ্নের জবাব জানার চেষ্টা করব আজ।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি তোমাদের অবশ্যই পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদের। যারা তাদের ওপর বিপদ আসলে বলে, (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আমরা তো আল্লাহরই। আর নিশ্চয়ই আমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী। এরাই তারা, যাদের প্রতি তাদের রবের কাছ থেকে বিশেষ অনুগ্রহ এবং রহমত বর্ষিত হয়, আর তারাই সৎপথে পরিচালিত।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৫৫-১৫৭) উপরোক্ত আয়াতে ধৈর্যশীলদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, তারা বিপদের সম্মুখীন হলে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়ে।

এরূপ বলাতে একাধারে যেমন অসীম সওয়াব অর্জন হয়, তেমনি এ বাক্যের অর্থের প্রতি যথার্থ লক্ষ্য রেখে তা পড়লে বিপদে আন্তরিক প্রশান্তি লাভ হয়। ফলে ঠাণ্ডা মাথায় সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিপদ থেকে উত্তরণও সহজ হয়। বিষয়টি আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে ভেবে সান্ত্বনাও খোঁজা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারো ওপর কোনো বিপদ এলে অবশ্যই সে যেন ‘ইন্না লিল্লাহ..’ বলে। অর্থাৎ নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহ তাআলার এবং আমাদের অবশ্যই তাঁর দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি আমার বিপদের প্রতিদান চাই।

অতএব তুমি আমাকে এর প্রতিদান দাও এবং এর বিনিময়ে ভালো কিছু দান করো।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১১) এভাবে বিপদে ধৈর্য ধরার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। তাঁর কাছে এর উত্তম প্রতিদান পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সব কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শোকর গুজার করে আর অসচ্ছলতা বা দুঃখ-মুসিবতে আক্রান্ত হলে ধৈর্য ধারণ করে,

প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৩৯০) তা ছাড়া কারো মৃত্যুতে ইন্নালিল্লাহ পড়ার মাধ্যমে মুমিন নিজেকে মনে করিয়ে দেয় যে এভাবে একদিন আমাকেও চলে যেতে হবে। এটি একই সঙ্গে নিজের জন্য অনেক বড় একটি উপদেশ। নিজের জন্য সান্ত্বনাও বটে। তাই আমাদের উচিত, যেকোনো ছোট-বড় বিপদে বিচলিত না হয়ে ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলা। এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের উত্তম প্রতিদান দেবেন এবং হেদায়েতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris