সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নওগাঁয় গভীর নলকুপ অবৈধভাবে বসানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

Paris
Update : রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের ভরট্ট মৌজায় একটি গভীর নলকুপ অবৈধ ভাবে নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। যে কোন মুহুতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

সরেজমিনে জানা গেছে, নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মানিক উদ্দীন কবিরাজ নামের এক ব্যক্তি ভরট্ট মৌজায় জে,এল নং- ১৪৯, দাগ নং-৩২১৭ এর উপর একটি গভীর নলকুপ বসিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে ইরি বোরো মৌসুমে চাষাবাদ করে আসছিল। কোন চাষীর সাথে পানি নিয়ে কোন প্রকার দ্বিমত সৃষ্টি হয়নি।

এছাড়াও সরকারী বিধি মোতাবেক ২০১৫-১৬ সাল থেকে উপজেলা সেচ কমিটির থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্স প্রতিবছর নবায়ন করে আসছে। হঠাৎ কয়েকদিন পূর্বে ওই ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের জেকের আলীর পুত্র ইব্রাহীম হোসেন একই মৌজার জেএল নং-১৪৯, দাগ নং-৩২০৬ এর উপর তার নলকুপের পাশে প্রায় ৩০০ফিট দুরত্বে অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক একটি নলকুপ বসানোর জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে মালামাল বহন করছে। তাকে নিষেধ করলেও কোন কথায় কর্নপাত করে না।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের কোন নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে তার নলকুপ বসানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ী একটি নলকুপ থেকে অন্য একটি নলকুপের দুরত্ব হবে ২৬০০ ফিট। কিন্তু ইব্রাহিম হোসেন কোন নিয়মনীতি না মেনে অবৈধ ভাবে ও জোরপূর্বক নলকুপ বসানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন মুহুতে বড় ধরনের দূঘটনা ঘটার আশংকা করছে এলাকাবাসী।

মানিক উদ্দীন শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার স্বার্থে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিএমডিএর নিয়ম অনুযায়ী নলকুপ বসানোর জন্য বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর আবেদন করেছেন। ওই নলকুপের একাধিক কৃষক জানান, আমরা প্রায় ১০ বছর ধরে এই নলকুপের মাধ্যমে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে জমি চাষাবাদ করে আসছি।

কোনদিন কোন পানির সংকট বা কোন প্রকার অসুবিধা এখনও হয় নাই। হঠাৎ করে অবৈধ ভাবে একটি নলকুপ বসানোকে কেন্দ্র করে এখানে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তারা আরও বলেন, যে কেউ নলকুপ বসাতে পারবে। তবে, সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী বসালে তাদের কোন আপত্তি নাই। কিন্তু জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে বসানোর জন্য তারা বিষয়টি মানতে নারাজ।

৩০০ফিট দুরত্বে নলকুপ বসালে দুই নলকুপের অধীনে কৃষকরা ইরি বোরো ধান করতে পারবে না। কারন নীচের স্তরের পানি দুই নলকুপের সাপ্লাই দিতে পারবে না। ফলে আমাদের একটি মাত্র ইরি ফসল ফলাতে পারব না। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। এছাড়াও এ নিয়ে যে কোন বড় ধরনের দুঘটনা ঘটার আশংকা করছেন তারা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

এ ব্যাপারে নলকুপর স্বত্তাধিকারী মানিক উদ্দীন কবিরাজ জানান, আমি প্রায় ১০ বছর যাবত সরকারী বিধি মোতাবেক নলকুপ বসিয়ে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে আমি ও আমার কৃষকদেও চাষবাদ করে আসছি। এখনও পর্যন্ত কোন অসুবিধা হয় নাই। প্রতি বছরই সরকারের লাইসেন্স বাবদ ফি দিয়ে আসছি। হঠাৎ করে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে মাত্র ৩০০ফিট দুরে শিকারপুর গ্রামের ইব্রাহিম নলকুপ বাসানোর কাজ শুরু করেছে। আমি নিষেধ করেও কোন কথা শুনে নাই।

বাধ্য হয়ে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেচ কমিটির সদস্য সচিব বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ও আইন শৃংখলা বজায় রাখার স্বাথে থানার অফিসার ইনচার্জ এবং স্খানীয় শিকার পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি। কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ এখনও পাই নাই। তিনি আরও বলেন, স্থানী প্রশাসন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তিনিও লিখিত দরখাস্ত পাওয়ার পরও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই।

নলকুপ বসাতে তার কোন আপত্তি নাই তবে সরকারী বিধি মোতাবেক দুরত্ব মেনে বসাতে হবে, কোন অবৈধ ভাবে বা জোর পূর্বক পেশী শক্তি দিয়ে নয়। এ ব্যাপারে ইব্রাহিম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিএমডিএর অনুমতি নিয়ে নলকুপ বসাচ্ছেন। কোন অন্যায় ভাবে বা জোর পূর্বক বসাচ্ছেন না। এর বেশী কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সচিব ও বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইতি মধ্যেই ওই এলাকার মেকানিককে নির্দেশ দিয়েছি। তবে, তদন্তের রিপোর্ট এখনও লিখিত ভাবে পায় নাই বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দীন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং বিষয়টি নিরসনের জন্য বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলীকে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছি। তবে কেহ আইনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক কোন কাজ করে সেটিরও ব্যবস্থা হবে বলে জানান তিনি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris