শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে : শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আমের সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার পরামর্শ কৃষিমন্ত্রীর বড়াল নদের উপর ব্রীজ নির্মান স্থান পরিদর্শন করেন যুগ্ম সচিব পবায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান ইসলামী নার্সিং কোচিং সেন্টারের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন কারুশিল্প উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধন অংকের হিসাব লাগে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত : আব্দুল ওয়াদুদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

করোনার অতি সংক্রামককে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলায় আপত্তি ভারতের

Paris
Update : সোমবার, ২৪ মে, ২০২১

এফএনএস : করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরনটিকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলায় আপত্তি জানিয়েছে ভারত সরকার। যে যে লেখায় বা পোস্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো বাদ দিতে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স। ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে শুক্রবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে, যা দেখার কথা জানিয়েছে রয়টার্স। বিবিসি লিখেছে, যতগুলো কনটেন্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি রয়েছে, তার সবগুলো অতিসত্বর তুলে নিতে বলা হয়েছে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে।

প্রায় দেড় বছর আগে মানুষে সংক্রমিত হওয়া নতুন করোনাভাইরাস রূপ বদল করে চলছে। এর মধ্যে গত বছর ভারতে এর যে পরিবর্তিত রূপ শনাক্ত হয়েছে, তার আনুষ্ঠানিক নাম বি.১.৬১৭ হলেও এটি ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ নামেই পরিচিতি পেয়েছে। গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সোশাল মিডিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও তাই বলে আসছিলেন। এর আগে যুক্তরাজ্যের, ব্রাজিলের ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনগুলোও ‘ইউকে ভ্যারিয়েন্ট’ ‘ব্রাজিল ভ্যারিয়েন্ট’ ও ‘সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট’ নামে পরিচিতি পায়। ভারতীয় ধরনটি প্রায় দুই ডজন দেশে পৌঁছেছে; এটার তিনটি ‘সাব টাইপ’র মধ্যে একটি বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। অতি সংক্রামক এই ধরনটিকে বিশ্বজুড়ে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও।

তবে ১১ মে ডব্লিউএইচওর বক্তব্য আসার পর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সে দেশের গণমাধ্যমগুলোকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলতে মানা করা হয়েছিল। এখন সোশাল মিডিয়া থেকেও এই শব্দটি বাদ দেওয়ার দিকে এগিয়েছে ভারত সরকার। চিঠিতে বলা হয়েছে, “এটা সম্পূর্ণ ভুয়া; কোভিড-১৯ এর বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত এমন কোনো ধরনই নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বলে কিছু কখনও বলেনি। তারা বলেছে বি.১.৬১৭।” এ বিষয়ে চেষ্টা করেও ভারতের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য না পাওয়ার কথা জানিয়েছে রয়টার্স। নয়া দিল্লির উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে সোজাসাপ্টাভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে। কেননা এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে, ভারতের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

একটি সোশাল মিডিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ভারত সরকার যা করতে বলেছে, তা করা খুব কঠিন। কারণ এমন কনটেন্ট কোটি কোটি হতে পারে। করোনাভাইরাস মহামারী সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ভারত, সেজন্য দেশটির সরকার সমালোচনায়ও পড়েছে। শনাক্ত রোগীর দিক থেকে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত। দেশটিতে শনাক্ত রোগী ২ কোটি ৬২ লাখের বেশি; এর মধ্যে প্রায় ৩ লাখের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখে এবং মৃত্যু ৪ হাজারে পৌঁছেছে। মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের সমালোচনামূলক কিছু পোস্ট সরিয়ে ফেলতে গত মাসে টুইটার ও ফেইসবুক কর্তৃপক্ষকে নরেন্দ্র মোদী সরকার বলেছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris