এফএনএস : এবার চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা শুরু হয়েছে নেপালের। প্রতিবাদে চীনকে লাল পতাকা দেখিয়েছে নেপাল। উত্তেজনার মূল কারণ হিমালয় জাতির দৌলখা জেলায় চীন-নেপাল সীমান্তে সীমান্ত স্তম্ভগুলো নিখোঁজ হওয়া। জানা গেছে, চীন-নেপাল সীমান্ত ঐতিহাসিকভাবে একটি নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত ব্যবস্থা যা ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। দেশ দুটোর মধ্যে ১৯৬১ সালে সীমান্ত চুক্তি গঠন করা হয়।
সে চুক্তি অনুযায়ী নেপাল ও চীন সীমান্তের ৭৬টি পয়েন্ট নির্দিষ্ট করা আছে। এতদিন সব ঠিকঠাক চললেও হঠাৎ সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে চীন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নেপালের বেশকিছু ভূখণ্ড দখল করে নেয় চীন। এরপর সেখানে ১১টি ভবনও নির্মাণ করে তারা। ভবনগুলো নির্মাণের আগে সেখানকার সীমানা স্তম্ভগুলো গায়েব হয়ে যায়। ওই ঘটনার পর নেপালে চীনের দূতাবাসের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। চীনবিরোধী স্লোগানও দেয় নেপালিরা।
নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক জরিপ অনুযায়ী চীন অবৈধভাবে গোর্খা, দোলাখা, হুমলা, দরচুলা, সিন্ধুপালচক, রাসুওয়া এবং সাংহুওয়াসভাসহ বেশ কয়েকটি সীমান্তবর্তী জেলায় দখল নিয়েছে। বছরের পর বছর এ ধরনের ঘটনার ফলে দুই দেশের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এখন আর থাকছে না। প্রতিনিয়ত এই ঘটনা চলায় সীমান্তে চীনকে লাল পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে নেপাল। সীমান্ত থেকে পিলার উধাও হয়ে যাওয়ায় উত্তেজনাও দিন দিন বাড়ছে দুই দেশের মধ্যে।